নির্বাচন ভবনের পুরাতন ছবি

দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতসীন দল আওয়ামী লীগের ৪ জন মেয়র প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সাতজন সাধারণ কাউন্সিলরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।  

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ৬১ পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। মনোনয়ন বাছাই শেষে ৩ হাজার ২২১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। ইসির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো মনোনয়নের তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ভাঙ্গুরা, পিরোজপুর সদর ও নারায়ণগঞ্জের তারাব পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, আজ বুধবার প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করবেন সংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসাররা। প্রতীক বরাদ্দের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা। 

দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি।  

এ ধাপের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন ২১৪ জন। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৩৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ২৭৩ জন। এ ধাপে তিন পদে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৩ হাজার ২২১ জন। মোট ২২৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

এর আগে, ৬১ পৌরসভায় তিন পদে মোট মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৩ হাজার ৫৬২ জন। বাছাইয়ে বাদ পড়ে ১৪৭টি মনোনয়নপত্র। ফলে বৈধ প্রার্থী ছিল ৩ হাজার ৪১৫ জন। মেয়র পদে একক প্রার্থী ছিল দুই পৌরসভায়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে মঙ্গলবার।

আগামী ১৬ জানুয়ারি এ ধাপে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে। দ্বিতীয় ধাপে ইভিএমে ভোট হবে ২৯টি পৌরসভায়। বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হবে। এবার পৌরসভার ভোট চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। এরইমধ্যে তিন ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি ৬১ পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপের ৬৪ পৌরসভায় ভোট হবে ৩০ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।  

প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন গত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে নির্বাচন পরবর্তী ব্রিফিংয়ে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীকে একযোগে দেশব্যাপী ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনে ২০ দলের প্রার্থীরা অংশ নিয়েছিল। ভোট পড়েছিল ৭৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।

এসআর/এইচকে