গ্রেফতার মো. রবিউল মির্জা ও কামরুল ইসলাম

ঢাকার সাভারের ক্লুলেস ফাতেমা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ হত্যায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪।

গ্রেফতাররা হলেন, নওগাঁ জেলার মো. রবিউল মির্জা (২৮) ও গাইবান্ধার কামরুল ইসলাম (১৮)। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সাভার মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র‍্যাব-৪ এর একটি দল।

র‌্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (অপস) সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, গত ৭ এপ্রিল ফাতেমা বেগম (৬১) নামের এক নারীকে সাভারের বিরুলিয়ায় তার নিজ বাসায় অজ্ঞাতনামা আসামিরা হত্যা করে পালিয়ে যায়।

৯ এপ্রিল নিহতের ছেলে বাসায় এসে মাকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজার একপর্যায়ে বাথরুমের পাশে তার মায়ের পচা-গলিত মরদেহ দেখতে পান। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
 
চাঞ্চল্যকর মামলাটির মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়াতদন্ত শুরু করে র‌্যাব-৪। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই দুজনকে গতরাতে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং হত্যার দায় স্বীকার করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ঘটনার দিন আসামিরা ভিকটিমের বাসার পাশেই আরেকটি বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। ভিকটিমকে গোসলখানায় যেতে দেখে আসামিরা বাসায় ঢুকে চুরি করার চেষ্টা করলে ভিকটিম বাধা দেন। এতে আসামিরা ভিকটিমকে বাথরুমেই হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিউল ভিকটিমের ঘর থেকে একটি কোদাল নিয়ে এসে ভিকটিমের হাতে, মুখে, ও গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে বাথরুমের পাশে ফেলে রাখেন।

এ ঘটনায় যাতে কেউ সন্দেহ না করতে পারে সেজন্য তিনি পাশের বাসায় পূর্বের মতো রাজমিস্ত্রির কাজ করতে থাকেন। অন্যদিকে কামরুল হত্যাকাণ্ডের পর নিজ জেলা গাইবান্ধায় গিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে তিনি ঢাকায় ফিরে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  

রবিউল নিহত নারীর বাসা নির্মাণের সময় রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেছিলেন। সে সূত্রে তিনি ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত। গ্রেফতারদের সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেইউ/আরএইচ