ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে ফানুসে লাগা আগুন, আতশবাজি- লাউড স্পিকারে গান-বাজনা ও শব্দদূষণের বিষয়ে সারাদেশ থেকে ৯৭১টি ফোন এসেছে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ —এ। এসব বিষয়ে ৯৯৯ কলারদের পুলিশের সহযোগিতা দিয়েছে।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, এগুলোর মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় ২৩৭ টি কলের বিপরীতে সেবা দেওয়া হয়েছে।

৯৯৯ মিডিয়া জানায়, ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত এসব বিষয়ে কল এসেছে ৫২৬টি। এর মধ্যে শুধু ঢাকা মহানগর এলাকা থেকে সেবা প্রত্যাশী ছিলেন ১০৭ জন। ১ জানুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে দুপুর ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শব্দদূষণ সংক্রান্ত ৪৪৫টি কল এসেছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা মহানগর এলাকা থেকে সেবা প্রত্যাশী ছিলেন ১৩০ জন। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উচ্চস্বরে লাউড স্পিকারে গান-বাজনা বন্ধ করে শব্দদূষণ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি করে। 

আনোয়ার সাত্তার জানান, ১ জানুয়ারি রাত ২টায় ঢাকার ধানমন্ডি পুরাতন ২৮ নতুন ১৫ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর বাড়ি থেকে একজন কলার জানান তার পাশের বাড়ির সীমানা দেয়ালের ওপরে প্লাস্টিক শিটের ওপর ফানুস পড়ে আগুন লেগে গেছে। তবে এ ঘটনায় ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই কলার জানান, তারা নিজেরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন এবং ফায়ার সার্ভিসের আর প্রয়োজন নেই।   

পুলিশের আদেশ অমান্য করে ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকাসহ সারা দেশে আতশবাজি ফুটানো হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে মিরপুর, গুলশান, রামপুরা, মহাখালী, শান্তিনগর এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পটকা ও আতশবাজি ফোটাতে থাকেন অনেকে। আবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ির ছাদ থেকে ওড়ানো হয়েছে ফানুসও।

এর আগে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যেন ফানুস ওড়ানো না হয় এবং আতশবাজি না ফোটানো হয় সে বিষয়ে প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার সকালে থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, আতশবাজি-পটকা ফুটানো এবং ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষেধ। এ বিষয়ে প্রতিটি থানায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ফানুস ও আতশবাজি যেসব এলাকায় বিক্রি হয়, সেসব জায়গায় আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।

এআর/এসএম