মাস্ক না পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ধরা ১০ ব্যক্তি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ তদারকিতে সোমবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একযোগে নয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করা, স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করা, অনুমোদনবিহীন দোকানপাট খোলা রাখা ও মশার লার্ভা পাওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় সর্বমোট ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জোর নেতৃত্বে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মালিবাগ বাজার, সিপাহীবাগ বাজার, শাহজাহানপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাস্ক না পরায় ১০ ব্যক্তিকে সাময়িক আটকে রেখে পরবর্তীতে তাদেরকে মাস্ক পরিধান করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং অননুমোদিতভাবে দোকান খোলা রাখায় প্রায় ৩০ ব্যক্তি ও দোকানকে সতর্ক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ডিএসসিসির অঞ্চল ১ থেকে ৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাশাপাশি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতসমূহের নেতৃত্ব দেন।
বিজ্ঞাপন
অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল ৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার বলেন, প্রতিদিনই আমরা লকডাউনে আরোপিত স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ তদারকি ও কার্যকর করতে অভিযান পরিচালনা করছি। পাশাপাশি প্রতিদিনই জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শুধু অভিযান দিয়েই লকডাউন দৃশ্যমানভাবে কার্যকর করতে হলে আমাদেরকে আরও বেশি কঠোরতা প্রদর্শন করতে হবে, জেল-জরিমানা বাড়াতে হবে। কিন্তু আমরা জেল-জরিমানায় না গিয়ে জনগণের সহযোগিতা চাই। লকডাউন কার্যকরে জনগণের আরও বেশি সচেতন হতে হবে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
অভিযানকালে অঞ্চল ২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর মামুনুর রশীদ, কাউন্সিলর আতিকুর রহমান প্রমুখ।
অভিযানকালে সব কয়টি আদালতই লকডাউনের নির্দেশনা মেনে চলতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে মাইকিং করেন। এছাড়াও বিনা প্রয়োজনে অযথা বাড়ির বাইরে বের না হওয়া, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দেন।
এএসএস/আরএইচ