বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ অনুযায়ী ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে প্রতিষ্ঠার ২২তম বর্ষে পা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ন্ত্রণের কাজ বিটিআরসির হাত ধরে হয়ে আসছে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে কমিশনের সব কর্মকতা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে শুভেচ্ছা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কাটা হয় কেক।

এসময় চেয়ারম্যান সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিটিআরসির গতিশীল কার্যক্রমের ফলে টেলিযোগাযোগ খাত বর্তমান অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে বিটিআরসি কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বিটিআরসি ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। বিটিআরসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মেধা, দক্ষতা, সততা আর দেশপ্রেম বজায় রেখে কাজ করার আহ্বা‌নও জানান তিনি।

আরও পড়ুন

কমিশন সচিব নূরুল হাফিজের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, সিস্টেমস্ অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু।

প্রসঙ্গত, টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী বিটিআরসি দেশে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিভিন্ন টেলিকম সেবার সার্বিক বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়াও গ্রাহকদের ওপর চার্জ নির্ধারণ, গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করা এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করাও বিটিআরসির কাজ। 

আরএইচটি/পিএইচ