ডিএমপির লোগো সংবলিত গাড়িতে চলছে যাত্রী পরিবহন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে সরকারের দেওয়া ৭ দিনের বিধিনিষেধ চলছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, ট্রাক কিংবা পিকআপে করে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গণপরিবহন না চলায় সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চালকরা। প্রতিদিনই গাবতলীর আশপাশের এলাকা থেকে প্রাইভেটকারে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
এই সুযোগে যাত্রী বহন করছে অনেক সরকারি-বেসরকারি অফিসের গাড়িও। গাবতলী এলাকায় মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লোগো সংবলিত একটি প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে সেখানে। ডিএমপির লোগো লাগানো গাড়িটি গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা মেট্রো গ-২৩-৮৮১৫ এই নম্বর প্লেট লাগানো প্রাইভেটকারটির ড্রাইভার কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি করছেন। তবে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে ড্রাইভার দুয়েকজন যাত্রী নিয়েই সেখান থেকে চলে যান।
উপস্থিত যাত্রী ও দালালদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিএমপির স্টিকার লাগানো গাড়িটি কয়েকজন যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে চলে গেছে। এখন গাড়িটি আদৌ পুলিশের কি না সেটা আমরা জানি না। তবে সামনে ও পেছনে দুই দিকেই ডিএমপির লোগো ছিল।
বিজ্ঞাপন
প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহন বিষয়ে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকার পরিবহন শ্রমিক মো. সাইফুল বলেন, আমি একটি পরিবহনে হেলপার হিসেবে কাজ করি। পরিবহন বন্ধ থাকায় কোনো কাজ নেই। তাই গাবতলী থেকে প্রতিদিন কিছু যাত্রী প্রাইভেটকারে তুলে দিই। যার বিনিময়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা উপার্জন হয়। মহামারির সময় এই ইনকাম দিয়েই পেট চালাচ্ছি।
করোনা সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত ১৮ দফা বাস্তবায়নে গত ৫ এপ্রিল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে বিধিনিষেধ শুরু হয়। নির্দেশনা অনুসারে জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া রাস্তাঘাটে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
এসআর/ওএফ/জেএস