চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী অন্তত দুটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা হঠাৎ প্লাবিত হয়েছে। শনিবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

বন বিভাগের জায়গায় কৃত্রিম বাঁধ দিয়ে তৈরি করা একটি হ্রদের বাঁধ কেটে দেওয়ায় হঠাৎ এমন ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। কোনোরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বাঁধটি কেটে দেওয়ার ফলে দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাসিন্দা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে। ডুবে গেছে স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক, তলিয়ে গেছে ফসলি খেতও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র কয়েক বছর আগে হ্রদটি তৈরি করে। লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়ন ও সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার একটি ছড়ায় বাঁধ দিয়ে হ্রদটি তৈরি করা হয়। এরপর ন্যাচারাল লেক নাম দিয়ে সেখানে চক্রটি মাছ চাষ শুরু করে। সম্প্রতি বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। শনিবার বিকেলে কৃত্রিম হ্রদটির বাঁধ কেটে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যা থেকে ছড়া হয়ে পানি ডলু খালে প্রবেশ করে।

এদিকে তীব্র স্রোতের কারণে ডলু খাল ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে করে লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ার, সাতকানিয়ার সাইরতলী, তাঁতীপাড়া, কুতুবপাড়া, মঙ্গলচাঁদ পাড়া পানিতে তলিয়ে পড়ে।

সোনাকানিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম বলেন, কোনো ঘোষণা নেই। শুনেছি হঠাৎ করে বনবিভাগের লোকজন একটি কৃত্রিম হ্রদের বাঁধ কেটে দিয়েছে। রাতে আমাদের বাড়িঘর ও দোকানপাট তলিয়ে গেছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।

সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, হ্রদের বাঁধ কেটে দেওয়ায় হঠাৎ বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। মানুষের বাড়িঘর ও দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এমআর/এসএসএইচ