ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ সব ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনা হবে: এ আরাফাত

ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনে শিগগিরই নির্দেশিকা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। এছাড়া, ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ সব ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনা হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্যাবল টেলিভিশনে সম্প্রচার ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ সব ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনা হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনের জন্য গাইডলাইন তৈরি করা হবে। পাশাপাশি ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচারে যেখানে আইনের লঙ্ঘন ও ব্যত্যয় আছে, সেটি বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। 

তিনি বলেন, ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচারে সম্পৃক্ত প্রত্যেক অংশীজন ডিজিটাইজেশনের পক্ষে। এক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তাই দ্রুততার সাথে এ কাজটি করতে সরকার চেষ্টা করবে। ডিজিটাইজেশন হলে সরকার আরও বেশি রাজস্ব পাবে, অনেক বেশি স্বচ্ছতা আসবে।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ প্রযুক্তির যেকোনো অগ্রসরতাকে সরকার স্বাগত জানায়। কিন্তু যেখানে আইন ভঙ্গ হবে, নিয়ম-নীতি ভঙ্গ হবে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। প্রযুক্তির অগ্রসরতার সাথে এক ধরনের ঝুঁকিও তৈরি হয়, সে জায়গাগুলোও দ্রুততার সাথে বিবেচনা করা হবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাতে হবে। প্রযুক্তি যে পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে সেটি মেনে নেওয়ার মানসিকতাও থাকতে হবে। প্রযুক্তি গ্রহণের ইতিবাচক মানসিকতা থাকাটাও জরুরি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রচলিত আইনের কোনো ব্যত্যয় হোক এটা আমরা হতে দিতে পারি না। আইন এবং জাতীয় নিরাপত্তা সরকারের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। তার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ও যোগাযোগের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এ সময় ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ আলী চঞ্চল, সদস্য নিজাম উদ্দীন মাসুদ, রশিদ মালিক, ফরিদ উদ্দীন ও হাবীব আলী উপস্থিত ছিলেন।

এ দিন দুপুরে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা।

এসএইচআর/কেএ