জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাসার বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আলাদা ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার। মশা দুই ধরনের হয়। যখন সাধারণ মশার সঙ্গে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশাকে মেশানো হবে, ততদিন দেশ থেকে ডেঙ্গু যাবে না। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা করা দরকার।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনে ‘এডিস মশা এবং এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু মোকাবিলায় বছরজুড়ে উত্তর সিটির প্রস্তুতি এবং করণীয় শীর্ষক’ গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

কবিরুল বাসার বলেন, সিটি কর্পোরেশনকে মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিকে ভাগ করে ফেলতে হবে। সেখানে থাকবে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট ও কিউলেক্স ম্যানেজমেন্ট। ৪৩ শতাংশ ডেঙ্গুর প্রজনন হয় মাল্টিস্টেরয়েড বিল্ডিয়ের বেসমেন্টে। ২৩ শতাংশ ডেঙ্গুর প্রজনন হয় নির্মাণাধীন ভবনের বেসমেন্টে।

তিনি বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণকে দুইভাগে ভাগ করতে হবে। একটি হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের পার্ট, আরেকটি হচ্ছে জনগণের পার্ট। সিটি কর্পোরেশন দায় চাপায় জনগণের ওপরে, আবার জনগণ দায় চাপায় সিটি কর্পোরেশনের ওপর। এই মুহূর্তে ঢাকায় ৯৯ শতাংশ কিউলেক্স মশা আছে, আর এক শতাংশ এডিস মশা আছে। এই এক শতাংশ এডিস মশাই জনস্বাস্থ্যে সমস্যা তৈরি করে। 

তিনি আরও বলেন, এক শতাংশ মশাকে নিয়ন্ত্রণ করায় উপায় কী, এই মশা কোথায় থাকে? অর্থাৎ টার্গেট স্পেসিফিক কন্ট্রোল মেজর ফর ডেঙ্গু অ্যান্ড কিউলেক্স। কিউলেক্স মশা ও ডেঙ্গু মশার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলতে হবে। আর এখানে জনগণকে সম্পৃক্ত করার কাজ সিটি কর্পোরেশনের।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে প্রস্তুতি এবং পরামর্শ নিতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, নিপসম প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির, সিডিসি সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ, নিপসম কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. গোলাম সারোয়ার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইডিসিআর বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মোইনুল আহসান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামকে এই আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। 

এএসএস/কেএ