অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল/ফাইল ছবি

কোনো এনজিও থেকে নয়, দেশে কত মানুষ দরিদ্র তার তথ্য সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিসিএস) থেকে নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, দেশে কত মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন সে বিষয়ে সরকার পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য গ্রহণ করবে, কোনো বেসরকারি সংস্থার তথ্য নয়।

গত এক বছরে করোনার সময়ে চার শতাংশ অতিদরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে। দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন প্রায় আড়াই কোটি মানুষ। দুটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এমন জরিপ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বুধবার (২১ এপ্রিল) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গবেষণার যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা বিবিএস দেখবে। আমরা বিবিএসর তথ্য গ্রহণ করবো। গরিব মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি জানান, আগামী বাজেটে প্রধান দৃষ্টি থাকবে দেশের দরিদ্র মানুষের ওপর।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অতিদরিদ্র এবং দরিদ্রদেরকে দারিদ্র্য থেকে বের করে মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা। সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

৩৫ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে কীভাবে এবং কবে দেওয়া শুরু হবে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, যে জনগোষ্ঠীকে এ টাকা দেওয়া হয়, তারা এখনও সেভাবে তৈরি হয়নি। মানে তাদের আইডি কার্ডসহ অন্যান্য পরিচয়পত্র পাওয়া যায় না। সেজন্য আমরা সরাসরি তাদের কাছে টাকাটা সরাসরি পৌঁছাতে পারি না। এজন্য দেরি হয়। তাদেরকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে সরাসরি পাঠানো গেলে অনিয়ম ও দেরি কমে আসত। এজন্য সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে। একবার যদি তারা এ সিস্টেমের মধ্যে চলে আসেন, তাহলে আর সমস্যা হবে না।

আগামী বাজেট সামাজিক সুরক্ষা খাতের বরাদ্দ আরও বাড়ছে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেট হবে দরিদ্রবান্ধব বাজেট। তাদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হবে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ গবেষণায় একটি জরিপে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে দেশে দুই কোটি ৪৫ লাখ নতুন দরিদ্র হয়েছে।

এনএম/আরএইচ