ইমপালস হাসপাতালের প্রতিবাদ
ইমপালস হাসপাতাল
‘ইমপালসের সাধারণ বেডে ৬ দিনের বিল ২ লাখ ৬২ হাজার’ শিরোনামে গতকাল মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা পোস্টে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিয়ে বিল পরিশোধের বিষয়ে এক রোগীর ক্ষোভের কথা তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যও নেওয়া হয়।
ওই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে ইমপালস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে-
সাধারণ বেডে ছয়দিনের চিকিৎসার বিল দুই লাখ ৬২ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। বস্তুত ওই রোগী তিনদিন আইসিইউতে এবং তিনদিন সাধারণ বেডে ভর্তি ছিলেন। কাজেই আইসিইউ এবং সাধারণ বেডের ভাড়া এক নয় এটা বোঝা উচিত ছিল।
বিজ্ঞাপন
বিলের মধ্যে ৩৬ হাজার টাকার ওষুধ রয়েছে এবং এক্স-রে ও ল্যাব টেস্টের পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার টাকা। এখানে উল্লেখ্য যে, রোগীর কিডনির সমস্যার জন্য তাকে নেফ্রোলজিস্ট দিয়েও ভিজিট করানো হয়েছে। ডাক্তারদের ভিজিটের বিলই প্রায় ৩১ হাজার টাকা।
আইসিইউর কথা বাদ দিয়ে সাধারণ বেডের কথা বলে বিরাট অঙ্কের হিসাব দেখিয়ে আপনারা আসলে সত্য আড়াল করেছেন। রোগী তিনদিন আইসিইউতে ছিলেন। সেখান থেকে সে ভালো হয়ে সাধারণ বেডে আসেন এবং আরও তিনদিন ভর্তি থেকে বাসায় চলে যান।
বিজ্ঞাপন
করোনার এই ক্রান্তিকালে রোগীকে তিনদিনের মাথায় আইসিইউ থেকে বের করা এবং ছয়দিনের মাথায় বাসায় পাঠিয়ে দেওয়াতে ইমপালস অবশ্যই চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশাল সাফল্য দাবি করতে পারে।
তদুপরি ২০ এপ্রিল বিকেল ৪টায় আমাদের সিওও মহোদয়কে ফোন করে এ বিষয়ে (বিল) জানতে চান তখন আপনাকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয় যে, এ বিষয়ে বিশদ কাগজপত্রসহ আপনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা তার ব্যাখ্যা দিতে পারব। কিন্তু আপনার ওই কথোপকথনের রেকর্ড আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। এটা উল্লেখ্য যে, সে সময়ে আমরা ডিরেক্টররা একটি অতিজরুরি মিটিংয়ে ছিলাম।
কিন্তু আপনি সত্য উদঘাটনের বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে সিওও মহোদয়ের সঙ্গে কথোপকথনের মাত্র দেড় ঘণ্টা সময়ের মধ্যে নিউজটি প্রকাশ করে মানহানিকর কাজ করেছেন।
আমরা যারা করোনার সময়ে জীবন উৎসর্গ করে কাজ করে যাচ্ছি তাদের মনোবল এবং উদ্দীপনার ওপর এটি অত্যন্ত ঘৃণ্য আঘাতও বটে। এরপরও আপনি আপনার সংবাদকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আরও দুজন রোগীর কথা উল্লেখ করেছেন যাদের আইডেন্টিটির (পরিচয়) বিষয়ে আপনি উল্লেখ করেননি। কাজেই এ বিষয়ে আমরা কোনো বক্তব্য দিতে পারছি না।
আপনার এমন কার্যকলাপের জন্য আমরা আপনার কাছ থেকে ভুল সংশোধনের আশা করছি। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।
এফআর/এমএআর