খাল উদ্ধারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, খালের সীমানায় কোনো স্থাপনা থাকবে না। খাল দখলমুক্ত করতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে আমি কাউকে আর নোটিশ দেব না। ময়লা পরিষ্কার ও দখলমুক্ত করে রাজধানীর খালগুলোকে আগের রূপে ফেরানো হবে। অভিযান শুরু করেছি। এই অভিযান চলমান থাকবে।

এদিকে, টানা তিন ধরে মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে ডিএনসিসি। 

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনসহ এ পযর্ন্ত ছয়টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।

অভিযানের তৃতীয় দিনে খালের সীমানায় নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি একটি একতলা টিনশেড বাড়ি ও আরও একটি  দোতলা নির্মাণাধীন ভবন গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ফ্লোটিং স্কেভেটর দিয়ে খালের ময়লা পরিষ্কার করা হচ্ছে। ময়লার স্তূপে পরিণত হওয়া খালে আবার পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। 

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম ও ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ প্রমুখ। 

এর আগে, শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি। সারাদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএনসিসিকে সহায়তা করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী।

এএসএস/কেএ