ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, দেশের মানুষের কষ্ট লাঘব করতে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুরান ঢাকার বংশালের সুরিটোলা সরকারি মডেল বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে চলে আসবে উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, বর্তমানে কিছু জিনিসপত্রের দাম মাঝেমধ্যে বেড়ে যাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন এই বিষয়টা মনিটরিং করছেন, কীভাবে এই জিনিসপত্রের দাম আমাদের নাগালের মধ্যে রাখা যায় তা নিয়ে তিনি দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আপনারা কয়েকটা দিন সময় দেন ইনশাআল্লাহ দ্রব্যমূল্য আপনাদের নাগালের মধ্যে চলে আসবে। 

তিনি বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমি এবং আমার পরিবার পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম এবং আগামী দিনগুলোতে থাকবো ইনশাল্লাহ। আমরা গত দিনে এই এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে চক্ষু চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছি, সঙ্গে প্রায় দেড় হাজার রোগীর বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করিয়েছি। গত রমজানগুলোতেও হাজার হাজার নিঃস্ব-দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সামগ্রিক চিত্রটাকে পাল্টে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে পুরোপুরিভাবে বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তনকে শুধুমাত্র ‘উন্নয়ন’ শব্দের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এটা একটা পরিবর্তন, এটা একটা সম্পূর্ণভাবে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে ঢাকা-৬ আসনের এমপি বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৯৩ মার্কিন ডলার। বর্তমান সরকারের সময়ে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার সাতশত ৩৫ মার্কিন ডলারে। এই হচ্ছে পরিবর্তন। আজকে দেখবেন পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলের মতো উন্নয়ন। চারদিকে এমন বহু উন্নয়ন এখন দেখতে পাবেন যা এক সময় মানুষ চিন্তাও করতে পারত না। 

সোমবার ঢাকা ৬ আসনের আওতাধীন ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুই’শ পরিবারের মাঝে মিনিকেট চাল ১০ কেজি, পোলাও চাল ২ কেজি, সয়াবিন তেল ২ লিটার, সরিষার তেল ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ ২ কেজি, আলু ৫ কেজি, ঘি ১০০ গ্রাম, সেমাই এক প্যাকেট, ছোলা বুট এক কেজি, খেজুর ২৫০ গ্রাম, চিনি ১ কেজি, লবণ ১ কেজি, লাক্স সাবান ১টি, দুধ ২০০ গ্রাম, মসুরের ডাল ১ কেজি, মুড়ি ১ কেজি, ডাবলি ১ কেজি, মটরের ডাল ১ কেজি, বেসন ১ কেজিসহ মোট ৩১ কেজির বস্তা বিতরণ করা হয়।

কেএ