কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিলুর রহমানকে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জ্যৈষ্ঠ এ কূটনীতিককে অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের দায়িত্বভার ত্যাগ করে অবিলম্বে ঢাকা সদর দপ্তরে প্রত্যাবর্তন করতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৫ ফ্রেবুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক প্রশাসন ডি এম সালাহ উদ্দিন মাহমুদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হাইকমিশনার খলিলুর রহমানকে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলির সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতএব, অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনে আপনার বর্তমান দায়িত্বভার ত্যাগ করে অবিলম্বে ঢাকা সদর দপ্তরে প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত হাইকমিশনার খলিলুর রহমান কানাডায় বাংলাদেশের হয়ে দূতিয়ালি করছেন। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন ড. খলিলুর রহমান। দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মাথায় (২০২১ সালে) তার চাকরির পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলে সরকার দুই বছরের চুক্তিতে তাকে হাই কমিশনারের পদে বহাল রাখে। 

গত বছর সেটিও শেষ হলে দ্বিতীয় দফায় চুক্তি অর্থাৎ গত ৩১ অক্টোবর থেকে ছয় মাসের জন্য তার চুক্তি নবায়ন করা হয়। সেই হিসেবে আগামী এপ্রিলে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় ড. হাছান মাহমুদকে। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি পোস্ট করেন হাইকমিশনার। 

তিনি পোস্টে কারও নাম উল্লেখ না করে গুরুতর কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেন। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, গত পাঁচ বছরে প্রচলিত নিয়ম-নীতি ব্যাপকভাবে ভঙ্গ করে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের মাধ্যমে বদলি এবং অন্যান্য কার্যকলাপ সম্পন্ন হয়েছে। স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সম্পাদিত ওইসব কর্মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশিরভাগ কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ। যার প্রভাব পড়েছে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যকারিতা, কর্মদক্ষতা ও কর্মক্ষমতার ওপর।

১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা খলিলুর রহমান দিল্লি ও জেনেভা মিশনে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া, ছুটি নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় কাজ করেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা খলিলুর রহমান প্যারিস থেকে এমফিল করেছেন এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক হেলথের ওপর পিএইচডি করেন।

এনআই/কেএ