বান্ধবীদের নিয়ে বেইলি রোড কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় খেতে এসেছিলেন তারেক আহমেদের স্ত্রী। কিন্তু আগুন লাগার পর থেকে স্ত্রীর ফোন বন্ধ পাচ্ছেন তিনি। তাই উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজ নিতে বেইলি রোডে এসেছেন তিনি।

তারেক আহমেদ বলেন, মতিঝিল এজিবি কলোনিতে আমাদের বাসা। আজ আমার স্ত্রী তার কয়েকজন বান্ধবীর সঙ্গে খেতে এসেছিলেন। আগুন লাগার পর থেকে তার বন্ধ পাচ্ছি। শুনেছি আগুন লাগা ভবনের ছাদে কিছু মানুষ আছে। ভাই দোয়া করবেন। 

তারেক আহমেদ মতো স্বজনের খোঁজে বেইলে রোডে আসছেন অনেকেই। তারা সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। অনেকে কান্নাকাটি করতেও দেখা গেছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, আগুন লাগা ভবনটির তিনটি ফ্লোরে এখনো আগুন জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনটির পাশের ভবনে উঠে পানি দিচ্ছেন। অন্যদিকে আরেক দল ফায়ার সার্ভিস কর্মী ভবনের নিচ থেকে পানি দিচ্ছেন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভেতরে অনেক লোক আটকা আছেন। তবে ঠিক কত জন সেখানে আটকে পড়েছেন সেই সংখ্যা জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই বলছেন, ভবনের ভেতরে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ছাড়া আরও কয়েকটি খাবারের প্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে এখনো অনেকে আটকে আছেন। অনেকেই হতাহত হতে পারেন বলে নিচে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন আশঙ্কা করছেন।

এএইচআর/এসকেডি