চলমান সর্বাত্মক বিধিনিষেধের পর জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার বরিশাল সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

বিধিনিষেধ শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ ছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন : ২৮ এপ্রিলের পর বিধিনিষেধ নয়, ধীরে ধীরে খুলবে সব

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশ-বিদেশে যে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে, তার অর্থের যোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে দেশের একটি রাজনৈতিক দল। অপপ্রচার আর গুজবের জন্য যাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়, তাদের ব্যাপারে বিরোধীদল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরূপ সমালোচনা করে।

তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম ও ডিজিটাল নিরাপত্তা সরকারের অ্যাকশনের বাইরে থাকবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা জনগণকেই দিতে হবে। গুজব আর অপপ্রচার নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করে।

আরও পড়ুন : ২৫ এপ্রিল থেকে দোকানপাট-শপিংমল খোলা রাখা যাবে ৭ ঘণ্টা

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদিন বিরোধীদল সরকারের বিরুদ্ধে যা নয় তাই বলে, প্রধানমন্ত্রীকেও ছাড়ছে না অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে। কিন্তু এসব বক্তব্যের কারণে কি কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা হচ্ছে?

এইউএ/এসকেডি