উমামা বেগম কনক

রাজধানীর পল্লবীর ডিওএইচএস এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে উমামা বেগম কনক (৪২) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী ওমর ফারুককে (৫১) আটক করেছে পল্লবী থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রান্নাঘর থেকে বটি এনে উপর্যুপরি কুপিয়ে কনককে গুরুতর আহত করে ওমর ফারুক। ডিওএইচএস কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ১২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আজ (২৪ এপ্রিল) ভোর পৌনে ছয়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কনকের মৃত্যু হয়।

নিহতের দুলাভাই বাবুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওমর ফারুক দীর্ঘদিন জাপানে ছিল। কয়েক বছর আগে দেশে আসে। তাদের দুটি ছেলে-মেয়ে আছে। কি কারণে ঘটনাটি ঘটল তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ এসেছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।

মিরপুরের পল্লবী ডিওএইচএসের এভিনিউ-৪, রোড নং-১১,বাসা নং-৭৪৩/৭৪৫ এর ডি/৩ ফ্ল্যাটে স্বামী সন্তান নিয়ে থাকতেন কনক। তার বাড়ি নরসিংদী জেলার সদর থানার সাটিরপাড়ায়। কনকের বড় মেয়ে ফাহিমা ‘ও লেভেল’ এবং ছেলে ওয়াসিফ ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত পাঁচ বছর আগে ওমর ফারুক জাপান থেকে দেশে আসে। দেশে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হন তিনি। গতকাল ফ্ল্যাট নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওমর ফারুক রান্নাঘর থেকে বটি এনে কনককে কুপিয়ে আহত করে। পরে আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে আটক করা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিরপুরের পল্লবী থেকে রাত বারোটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় কনকে। আজ ভোর পৌনে ছয়টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আমরা বিষয়টি পল্লবী থানাকে জানিয়েছিলাম।

এসএএ/এমএইচএস