পুরান ঢাকা থেকে শো-রুম সরাবেন না কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা
নিমতলী, চুড়িহাট্টার পর এবার আরমানিটোলা। একের পর এক কেমিক্যাল বিস্ফোরণের ঘটনার পরেও টনক নড়ছে না প্রশাসন কিংবা কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের। ভবিষ্যতে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের গোডাউন সরানো হলেও শো-রুম সরিয়ে নিতে রাজী নন ব্যবসায়ীরা।
পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক কারখানা স্থানান্তরে বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পার্ক নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে আরমানিটোলার আগুনের ঘটনাস্থল হাজী মুসা ম্যানশন পরিদর্শনে যান বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পার্কের প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সকাল থেকে আশপাশের কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সিরাজদিখানে চলমান প্রকল্পের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছি। ব্যবসায়ীদের সেখান যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে তারা এখানে একটা শোরুম রাখতে চান। তারা চান ওয়ারহাউজগুলো দূরে রাখতে।
বিজ্ঞাপন
প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পের জমি নেওয়া হয়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে মাটি ভরাট শুরু হবে। ৬ মাসের মধ্যে মাটি ভরাট কাজ শেষ হবে। আশা করছি, ২০২২ সালে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, গোটা ভবনের দায়িত্ব নিয়েছে পুলিশ। ভবনের ভুল গেট ও মার্কেটে তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালের দিকে হঠাৎ ভবনের ভেতর থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া বের হয়ে আসতে থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ফোন দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে আসে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ারম্যান নিজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এসে ভেতরে ঢুকে ধোঁয়া দেখতে পাই। তবে এটি নতুন কোন ধোঁয়া না। গতকাল আগুন নেভানোর পরেও কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া জমে ছিল, সেগুলো বের হচ্ছে, আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) মধ্যরাতে আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানশনে ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে চারজনের মৃত্যু হয়। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও ৪ জন। আহত ১০ জন এখনো বার্ন ইউনিটের পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
এআর/এসকেডি