‘সার্টিফিকেট অব ল্যান্ড ওনারশিপ (সিএলও)’ তথা এক সার্টিফিকেটেই ভূমির চূড়ান্ত মালিকানার প্রমাণক থাকলে জমি ব্যবস্থাপনা ও লেনদেনের বিষয়টি ভূমি মালিকদের জন্য আরও সহজ হবে। ফলে সার্বিক ভূমি ব্যবস্থাপনা আরও গতিশীল হবে। এ বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) জুম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘প্রস্তাবিত ভূমি ব্যবহার আইন, ২০২১-এর গাইডলাইন প্রস্তুত’ শীর্ষক কর্মশালায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমির মালিকানা প্রমাণক অধিকতর সহজ ও জাল প্রতিরোধী করতে এক সার্টিফিকেটেই ভূমির চূড়ান্ত মালিকানা প্রদানের বিষয়টির সক্ষমতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বর্তমানে জমি সম্পর্কিত যেকোনো কাজে ভূমিস্বত্বের প্রমাণক হিসেবে একের অধিক বিভিন্ন ধরনের আনুষঙ্গিক দালিলিক কাগজাদি দিতে হয়।

ভূমি মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আয়োজিত কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা ‘ভূমি ব্যবহার আইন, ২০২১’-এর খসড়া প্রণয়নে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ সহ খাস জমি, ভূমি মালিকানার প্রমাণক, সিকস্তি এবং পয়স্তি, চা বাগান, ভূমি অধিগ্রহণ, জমির শ্রেণি বিন্যাস, সায়রাত মহালসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিদ্যমান আইন, নীতি ও বিধানের প্রভাব এবং ভূমিকার ব্যাপারেও তাদের মতামত ব্যক্ত করার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

ভূমি সচিব সবার মতামত গ্রহণ করে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ সালেহউদ্দীন ও প্রদীপ কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন।

ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন মনিটরিং সেল প্রধান ড. মো. জাহিদ হোসেন পনির পিএএ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত কর্মশালায় সঞ্চালনা করেন। 

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট যুগ্ম ও উপ-সচিবরা। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ও অধিগ্রহণ), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)।

এসএইচআর/এমএইচএস