উপকূলীয় অঞ্চলে সম্প্রতি ‘প্রবাহ’-এর স্থাপন করা ছয়টি পরিশোধন প্ল্যান্টের মাধ্যমে নিরাপদ ও সুপেয় পানি পাচ্ছেন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্য দিয়ে, ২৩টি জেলায় প্রবাহ উদ্যোগের অধীনে এ ধরনের প্ল্যান্টের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২১টিতে। এ উদ্যোগের সুবিধাভোগী প্রায় তিন লাখ মানুষ, যারা আগে বিভিন্নভাবে পানির সংকটে ভুগেছেন। 

বিশ্ব পানি দিবস ২০২৪-এ বেসরকারি খাত পরিচালিত উদ্যোগ প্রবাহ’র ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নতুন প্ল্যান্টগুলো উদ্বোধন করা হয়। 

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ৬ষ্ঠ লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী; বিশেষ করে লবণাক্ততাপ্রবণ দক্ষিণাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর মধ্যে নিরাপদ সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

এ বিষয়ে প্রবাহ প্রতিনিধি আহমেদ রায়হান আহসানউল্লাহ্‌ বলেন, প্রবাহের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট পানির সংকট মোকাবিলায় উপকূলীয় অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর মধ্যে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি নিচ্ছি। পানির এই সংকট নিরসনে টেকসই একটি মডেল সমাধান নিয়ে আসতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রবাহ। 

উপকূলীয় অঞ্চলের এই পরিশোধন প্ল্যাটগুলোতে সর্বাধুনিক রিভার্স অসমোসিস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের সহায়তায় আর্থিকভাবে স্ব-নির্ভর পদ্ধতিতে এ পরিশোধন প্ল্যান্টগুলো পরিচালিত হয়। 

প্রবাহ’র মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) বেশকিছু সফল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায়, এ উদ্যোগ রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিজিবি (বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ) সহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে।

২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে প্রবাহ। যাত্রা শুরুর পর থেকে এ উদ্যোগ আর্সেনিক দূষণ, পার্বত্যঞ্চলে পানির স্বল্পতা এবং উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার কারণে সৃষ্ট সুপেয় পানির সংকট-বাংলাদেশের পানির তিনটি অন্যতম প্রধান সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রেখেছে। প্রবাহ’র ১৫ বছরের এ যাত্রা গর্ব ও প্রত্যয় নিয়ে সবার জন্য নিরাপদ আজ ও আগামী নিশ্চিতে অনুপ্রেরণাদায়ক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এআর/জেডএস