কৃষকের বাজার

বাজারটিতে কৃষক নিজেই নিজের উৎপাদিত সবজি ও ফল বিক্রি করছেন। কৃষক সরাসরি ভোক্তার হাতে তুলে দেওয়ায় এসব সবজি ও ফল থাকছে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত। ‘কৃষকের বাজার’ নামে পরিচিত এ বাজারে এসব পণ্যের দামও হাতের নাগালে।

খুব দূরে নয় রাজধানীতেই গড়ে উঠেছে এমন বাজার। ‘কৃষকের বাজার’ নামে পরিচিতি পাওয়া এ বাজারে মিলছে হরেক রকমের সবজি ও ফল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষকেরা এ বাজারে তাদের উৎপাদিত সবজি ও ফসল এনে বিক্রি করছেন। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যেও চলছে কৃষকের এ বাজার।

জাতীয় সংসদ ভবনের উল্টো দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পাশ ঘেঁষে থাকা সেচ ভবন প্রাঙ্গণে প্রতি শুক্র ও শনিবার বসে এ বাজার। সপ্তাহের এ দুদিন সকাল ৭টার দিকে শুরু হয়ে চলে দুপুর পর্যন্ত। সেচ ভবনে ঢোকার মুখে রাস্তার দুই পাশজুড়ে ছোট ছোট দোকানে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বসে যান কৃষকরা।

তারা জানান, বৃহস্পতিবার তারা ফসল তুলে শুক্রবার ভোরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর পর্যন্ত বিক্রি করে বিকেলের দিকে আবার বাড়িতে চলে যান। শনিবারও এভাবে চলে আসেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কৃষি বিপণন অধিদফতর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও হরটেক্স ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ বাজারের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে কৃষকের সংখ্যা কম থাকলেও এখন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের সংখ্যাই বেড়েছে।

দেশের প্রচলিত সবজির বাইরে বিদেশি, অপ্রচলিত নানা সবজিও পাওয়া যায় এখানে। এ বিষয়ে কৃষি বিপণন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) এস এম সাঈদ হাসান ঢাকা পোস্টকে জানান, মূলত রাজধানীর ভোক্তাদের কাছে নিরাপদ সবজি ও ফল পৌঁছানোই এ বাজারের মূল লক্ষ্য। এখানে কৃষিপণ্য আনতে হলে কৃষকদের উপজেলা কৃষি অফিসারের প্রত্যয়ন নিয়ে আসতে হয়।

তিনি বলেন, এ বাজারের বিক্রি হওয়া সব ফসল ও পণ্য নিরাপদ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা হয়। আমরা অর্গানিক বলতে যা বুঝি। প্রায় সব জাতের সবজি, অপ্রচলিত সবজি, নানা জাতের ফলসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য পাওয়া যায় এ বাজারে। কলা, পেঁপে, তরমুজ, বাঙ্গি, পেয়ারা, আম, থেকে শুরু করে প্রায় সবই পাবেন। পাশাপাশি বিদেশি ফলও রয়েছে এ বাজারে। কৃষকের এ বাজারে পাওয়া যায় ঘরে বানানো নানা রকমের আচার। মৎস্য অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ মাছের দোকানও রয়েছে কৃষকের এ বাজারে।

একে/এফআর