রোজার শেষ দিন আজ। কাল (বৃহস্পতিবার) ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এই ঈদকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে বাড়িফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। ট্রেন স্টেশনে ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও বাস বা লঞ্চে সেরকম ভিড় চোখে পড়েনি। বিশেষ করে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল যাত্রী সংকটে ধুঁকছে বলে জানান কাউন্টারের কর্মচারীরা।

বুধবার (১০ এপ্রিল) গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে যাত্রী সংকট দেখা গেছে। দেখা যায়নি গাবতলীর চিরচেনা সেই চিত্র। পদ্মা সেতু ও লোকাল বাসের প্রভাবে এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন কাউন্টারের কর্মচারীরা।

রাশেদ নামের এক যাত্রী যাবেন পটুয়াখালীতে। তিনি বলেন, আমি কাউন্টারে এসে টিকিট কেটেছি, ভালো সিট পেয়েছি। অতীতে খুব কমই এরকম হয়েছে। অতীতে এক সপ্তাহ আগে থেকে টিকিটের জন্য যুদ্ধ করতে হতো। কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে কালোবাজার থেকেও টিকিট কিনেছি। কিন্তু পদ্মা সেতুর কল্যাণে কাউন্টারের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের যথাযথ শিক্ষা হচ্ছে। বর্তমানে গাবতলীতে টিকিট নিয়ে কোনো কালোবাজারি নেই। এলে সঙ্গে সঙ্গেই যেকোনো রুটের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।

ঢাকা পোস্টের কথা হয় পটুয়াখালী রুটের গোল্ডেন লাইন কাউন্টারের কর্মচারী মো. মাসুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না ভাই। আমাদের প্রত্যেকটা গাড়ি সিট খালি নিয়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা এসেই সিট বুকিং দিতে পারছে। ফেরি ঘাটে জট না থাকলেও যাত্রী সংকটে দিন পার করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মো. মাসুদ বলেন, পদ্মা সেতুর প্রভাব পড়েছে গাবতলীতে। এক সেতুতেই গাড়ি ও যাত্রী কমেছে কয়েকগুণ। আমাদের গোল্ডেন লাইনও গাবতলী থেকে বিভিন্ন রুটের গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমাদের বেশিরভাগ গাড়ি যাত্রাবাড়ী ও সায়দাবাদের ওই রুটে পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া লোকাল বাসে ভেঙে ভেঙেও যাচ্ছেন যাত্রীরা। এই রুটে পদ্মা সেতুর মতো বিকল্প ব্যবস্থা না করলেও ভবিষ্যতে আরও যাত্রী ও বাস সংকটে পড়তে হবে।

সেলফী পরিবহনের চালক খোরশেদ জানান, তারাও যাত্রী সংকটে পড়েছেন। তিনি বলেন, গাড়ি ফাঁকা রেখেই পাটুরিয়া যাচ্ছি। অন্যবারের মতো এবার যাত্রী নেই বলে জানান তিনি।

গাবতলী থেকে ২০০ টাকা ভাড়ায় পাটুরিয়া পর্যন্ত যায় সেলফী পরিবহন।

এসআর/এসএসএইচ