সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ‘ট্রি অব পিস’ সম্মাননা প্রদানের একটি তথ্য জানিয়েছিল ইউনূস সেন্টার। সেই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে বুধবার (৯ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারপ্রাপ্তির সংবাদের প্রতিবাদে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েব পেইজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ট্রি অব পিস' পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরামে ড. ইউনূসকে ইউনেস্কো থেকে ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউনেস্কো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তর এ বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। ১১তম বাকু ফোরামে এ সম্মাননা প্রদানকালে ইউনেস্কোর কোনো অফিসিয়াল প্রতিনিধিত্বই ছিল না। ইউনূস সেন্টার কর্তৃক দাবি করা সম্মাননা ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার নয়। ড. ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ প্রদানকারী ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পী হেদভা সের নিজেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে ড. ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ প্রদানে ইউনেস্কোর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। বাকু ফোরামের আয়োজক নিজামী গনজবী ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের আহ্বানে হেদভা সের ড. ইউনূসকে এটি প্রদান করেন। হেদভা সের ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক কূটনীতি বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত কিন্তু ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার বা সম্মাননা দেওয়ার এখতিয়ার তিনি রাখেন না। ইউনেস্কো সদর দপ্তর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত বাস্তবতার নিরিখে ড. ইউনূস পরিচালিত ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত এবং প্রচারিত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতারণামূলক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি অনতিবিলম্বে সংশোধন-পূর্বক ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েব পেইজ থেকে অপসারণ এবং আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে উল্লিখিত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য বলা হলো। ব্যাখ্যা প্রদানে অপারগ হলে তার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

এআর/এসএসএইচ