রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে বৈশাখী বাসে মহাখালী এসে নেমেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী হায়দার হোসেন। অন্য সময় এ দূরত্বে বাস ভাড়া নেওয়া হয় ২০ টাকা। আজতাকে ভাড়া দিতে হয়েছে ৩০ টাকা।

শুধু বৈশাখী বাসেই নয়, রাজধানীতে চলাচল করা বাস, সিএনজি, রিকশাসহ সব গণপরিবহনে বকশিশের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। রাজধানীর মধ্যে যেকোনো দূরত্বেই ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বকশিশের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

এয়ারপোর্টের সামনে থেকে রাইদা বাসে এসে উত্তর বাড্ডা নেমেছেন শহিদুল ইসলাম নামের একজন যাত্রী। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে বাড্ডার ভাড়া ২৫ টাকা। অথচ আজ আমার কাছ থেকে জোর করে ৪০ টাকা নিল তারা। ১০০ টাকার নোট দিয়েছি, তারা ৬০ টাকা ফেরত দিয়ে বলল বাকিটা ঈদের বকশিশ রেখেছে। এভাবে প্রতিটা বাসে সাধারণ যাত্রীদের পকেট কাটছে তারা।

ভাড়া বেশি নেওয়ার বিষয়ে গাজীপুর থেকে গুলিস্তানের রুটে চলাচল করা ভিক্টর ক্লাসিক বাসের কন্ডাক্টর খোরশেদ আলম বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে সবাই তো চলে গেছে গ্রামে। কিন্তু আমরা যাত্রী আনা-নেওয়া করার জন্য ঢাকা শহরেই আছি। আমাদেরও তো ঈদ আছে, তাই যাত্রীদের কাছ থেকে বকশিশ হিসেবে টাকা চেয়ে নিচ্ছি। এখানে কোনো জোর জবরদস্তি নেই, যারা খুশি হয়ে দিচ্ছেন তাদের থেকেই নিচ্ছি। তবে ভাড়ার সঙ্গে সবাইকে বলছি ১০ টাকা বেশি করে দিতে। এটা ভাড়া বেশি নেওয়া না, একদিনের জন্য বকশিশ নেওয়া আর কি।

একই ধরনের অভিযোগ জানিয়ে কলাবাগান থেকে গুলশান-১ নম্বরে সিএনজি অটোরিকশায় আসা যাত্রী নাজমুল হক বলেন, অন্য সময় এখন যে দূরত্বে এসেছি এখানকার ভাড়া মোটামুটি ৩০০ টাকা, অনেক সময় ২৫০ টাকাও নেয়। তবে আজ ৩০০ টাকা ভাড়া দেওয়ার পর আরও ৫০ টাকা বেশি নিলো সিএনজি চালক। বলল ভাই কিছু বকশিশ দেন, তাই অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিতে হলো। সকালে যখন কলাবাগান গিয়েছি সিএনজিতে করে, তখনও বকশিশ নেওয়ার নামে ৩০ টাকা বেশি রেখেছিল সিএনজি চালক।

এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক, অলিগলিতে চলাচল করা রিকশা চালকরাও ভাড়ার সঙ্গে বকশিশ হিসেবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন যাত্রীরা।

এএসএস/এসএসএইচ