সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ

কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে চীনের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহায়তার প্রস্তাব করেছেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেংহি। 

একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা বলেন। এছাড়া তিনি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং চীনের সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেন।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। 

সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় ছাড়াও দুদেশের সশস্ত্রবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান দুদেশের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন, সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময়, সশস্ত্র বাহিনী পর্যায়ে নিয়মিত মতবিনিময় অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করার পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় চীনের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

আলোচনাকালে সেনাপ্রধান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি-সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়- উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সদা বদ্ধপরিকর।

চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন পূর্বক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সুসম্পর্কের গভীরতা ও ব্যাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ককে আরও উচ্চতর স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের ভিশন-২০৪১ অর্জনে চীনের সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এছাড়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, যৌথ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-চীনের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এর আগে জেনারেল ওয়েই ফেংহির নেতৃত্বে চীনা সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি দল ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাৎ বরণকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সফর শেষে চীনা প্রতিনিধি দলটি মঙ্গলবারই বাংলাদেশ ত্যাগ করে।
 
এনএম/আরএইচ/জেএস