দিনে রেকি, রাতে গ্রিল কেটে চুরি
অভিযানে ৮টি মোবাইল সেট, ৭টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়
দিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে টার্গেট ঠিক করে চক্রের সদস্যরা। রাতে গ্রিল কেটে বাসা বা অফিসের ভেতরে প্রবেশ করে মালামাল চুরি করে। পরে বাইরে রাখা পিকআপযোগে দ্রুত পালিয়ে যেত গ্রিল কাটা চোর চক্রের সদস্যরা।
শুধু তাই নয়, চোরাই ল্যাপটপ ও মোবাইল অনলাইন প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতো। বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হতো ভুয়া নিবন্ধিত সিম।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় কয়েকটি চাঞ্চল্যকর গ্রিল কেটে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
অভিযুক্তরা হলেন, চক্রের মূলহোতা আব্দুল গাফফার, নজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ, রিপন, মাসুদ তালুকদার ও মাসুদ।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে রাজধানীর ডেমরা ও কদমতলী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৮টি মোবাইল সেট, ৭টি ল্যাপটপ ও ১৮টি মোবাইল সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে বিমানবন্দর থানার উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের প্রপার্টি কানেক্টের অফিসে কৌশলে প্রবেশ করে চক্রের সদস্যরা। সেখান থেকে একটি আইপ্যাড, একটি আইফোন ৪, ১২/১৪টি অব্যবহৃত ফোন সেট, দুটি ল্যাপটপ ও নগদ ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. ওয়ালিউল আজিম ২২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
নাজমুল হক জানান, এ মামলা ছায়া তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রিলকাটা চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতার এবং চোরাই মোবাইল, ল্যাপটপ ও ভুয়া নিবন্ধিত মোবাইল সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ চক্রের সদস্যরা রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও টঙ্গী এলাকার বাসা ও অফিসের জানালার গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী চুরি করতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নাজমুল হক বলেন, এ চক্রের সদস্যরা দিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে টার্গেট ঠিক করে। গ্রেফতার হওয়া আসামি রিপন পিকআপ নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করত। আব্দুল গাফফার ও মাসুদ বাইরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করত। গ্রিল ভেঙে বাসা বা অফিসের ভেতরে প্রবেশ করত নজরুল ওরফে সোহাগ। চুরি করা মালামাল পিকআপযোগে গাফফারের বাসায় নিয়ে ভাগাভাগি হতো। মাসুদ তালুকদার ল্যাপটপ ও মোবাইল অনলাইন প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতো। বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাজে সে ভুয়া নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করতো। আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।
জেইউ/এসকেডি