রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ছেলের ইটের আঘাতে মা পারভীন আক্তারের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ছেলে সজীব (২৭) পলাতক রয়েছে।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় ছোট ভাই কান্না করায় মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয় সজীব। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে শাওন হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বড় ভাইয়ের মানসিক সমস্যা আছে। সে কখনও উচ্চস্বরে কথা বলা পছন্দ করত না। রাস্তা দিয়ে একা একা হাঁটতে হাঁটতে কথা বলত। গতকাল (শুক্রবার) তারাবির নামাজ শেষে তিন বছরের ছোট ভাই খাওয়ার জন্য কান্না করছিল। তখন মা ভাত দেওয়ার জন্য যায় কিন্তু সজীবের কথা হচ্ছে সে কান্না করছে কেন। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইট দিয়ে মায়ের মাথা, মুখের চোয়াল, নাক মুখ থেঁতলে দেয়। তখন আমরা বাসায় ছিলাম না। পরে প্রতিবেশীরা আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১০টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত পারভীন আক্তার যাত্রাবাড়ী থানার কাজলার আলোকপাড় এলাকায় স্বামী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। তিনি মো. লিটন হোসেনের স্ত্রী। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ের মা।

যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অভিজিৎ পোদ্দার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাই। গভীর রাতে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শনিবার (১ মে) সকালে ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সজীব মানসিকভাবে সুস্থ নয়। তার ছোট ভাই কান্না করায় মায়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইট দিয়ে মাথা ও মুখের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে সে। পরে মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই সজীব পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এসএএ/এসএসএইচ