বিধিনিষেধেও খোলা কৃষি মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ের অফিস
চলমান বিধিনিষেধেও খোলা রয়েছে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দফতর ও সংস্থাগুলোর অফিস। এরমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় সীমিত পরিসরে ও মাঠ পর্যায়ের বিশেষ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রয়েছে।
রোববার (২ মে) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বিধিনিষেধের শুরু থেকেই বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষিযন্ত্র বিতরণ ও আন্তঃজেলা শ্রমিক পরিবহনে সহযোগিতা দেওয়াসহ বিভিন্ন জরুরি কাজের জন্য খোলা রয়েছে অফিসগুলো। এছাড়া আউশের প্রণোদনা, সার, বীজ, কীটনাশক প্রভৃতি উপকরণ বিতরণের কাজও সুষ্ঠুভাবে চলমান আছে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিস খোলা রেখে জরুরি কার্যক্রম চলমান আছে। মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থাগুলোর মাঠ পর্যায়ের অফিসের সঙ্গে প্রণোদনা, কৃষি উপকরণ ও ধান কাটাসহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত সচিবদের নেতৃত্বে প্রতিদিন একটি করে টিম সচিবালয়ে দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে। অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
পাশাপাশি রোস্টারভিত্তিতে উপসচিবদের নেতৃত্বে একটি ‘মনিটরিং সেল’ সচিবালয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া কৃষিমন্ত্রী এবং সিনিয়র সচিব নিয়মিতভাবে সংস্থা প্রধানসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে জরুরি সভা করছেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের কাজ ও ই-নথির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াও চলমান আছে। দফতরগুলোর মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও এর মাঠ পর্যায়ের জেলা-উপজেলা অফিসগুলো খোলা রয়েছে। অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ নিয়মিতভাবে অফিস করছেন। তিনি ও অধিদফতরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ে জরুরি প্রয়োজনে অফিস করার পাশাপাশি সরেজমিন মাঠের কার্যক্রম পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন। করোনার ঝুঁকির মধ্যেও হাওরে বোরো ধানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার বিতরণ ও ধান কাটায় উৎসাহ দিতে ইতোমধ্যে তারা হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হাওর সফর করেছেন। এছাড়া গাজীপুরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে দ্রুত ‘উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল’ ধানের জাত উদ্ভাবনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিধিনিষেধে এসব উদ্যোগের ফলে মাঠ পর্যায়ে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপারের সর্বোচ্চ ব্যবহার, কৃষি উপকরণের সরবরাহ, হাওরে বোরো ধান কাটা ও শ্রমিকের নির্বিঘ্ন যাতায়াত সচল রাখা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি মন্ত্রণালয়ের।
এসএইচআর/জেডএস