এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করছিল একটি কাঠবিড়ালী/ ছবি: সুমন শেখ

অনেক চতুর প্রাণী কাঠবিড়ালী, সাধারণত গাছেই বসবাস। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেখা মিলল এই প্রাণীর।

ক্ষুধার কারণেই যেন গাছ থেকে মাটিতে নেমে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করছিল একটি কাঠবিড়ালী।

ঘুরে ঘুরে মাটিতে পড়ে থাকা খাবার খুঁজে খাচ্ছিল চতুর এই প্রাণীটি। তারপর ছায়ায় এক টুকরো মাটির ঢিবিতে গাঁ এলিয়ে দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় কাঠবিড়ালীটিকে।

সবুজ ঘাসে এই প্রাণীটির বিচরণ চোখে পড়ার মতো। এক গাছ থেকে আরেক গাছে যেতে ঘাসের ওপর দিয়ে দ্রুত ছুটে চলে কাঠবিড়ালী।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে বিধিনিষেধের চলাকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের অবাধ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় জনশূন্য সবুজ গাছপালায় ঘেরা এই উদ্যানের বিভিন্ন স্থান কাঠবিড়ালীদের নিরাপদ চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে কাঠবিড়ালী অবাধে ছোটাছুটি করছে। কখনও একা আবার কখনও দলবেঁধে দিচ্ছে ছুট।

এরই মধ্যে উদ্যানে চোখে পড়ে একটি গাছে দুটি কাঠবিড়ালীর ভালোবাসার চুম্বনের দৃশ্য।

কাঠবিড়ালী Rodentia বর্গের Sciuridae গোত্রের প্রধানত বৃক্ষবাসী স্তন্যপায়ী প্রাণী। শরীর লম্বাটে, লেজ লম্বা ও ঝোপালো। কাঠবিড়ালী বহুদৃষ্ট স্তন্যপায়ীর অন্যতম। অস্ট্রেলিয়া ও কুমেরু ছাড়া পৃথিবীর সর্বত্র আছে এই প্রাণীটি। উষ্ণমন্ডলীয় কিছু কাঠবিড়ালীর শরীরে কালো ও সাদা ডোরা থাকে। 

অনেকেরই চোখ বড়, দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ম এবং আছে ডালপালার মধ্যেকার দূরত্ব মাপার মতো প্রখর বোধশক্তি। এদের সামনের পা খাটো, পায়ের আঙুলে ধারালো নখ, তা দিয়ে বৃক্ষবাসী প্রজাতিরা স্বচ্ছন্দে গাছে ওঠানামা করে। পেছনের লম্বা পা লাফ দেওয়ার প্রয়োজনীয় সম্মুখগতি যোগায়।

উড়ুক্কু কাঠবিড়ালীর আছে দেহের দুপাশে পেছনের পা থেকে সামনের পা পর্যন্ত ছড়ানো ও কব্জিতে যুক্ত লোমশ চামড়া। হাত-পা ছড়িয়ে এরা শরীরের উপরিতলের আয়তন বাড়িয়ে লেজকে হাল হিসেবে ব্যবহার করে এক গাছ থেকে অন্য গাছে পৌঁছাতে পারে। অন্য সময় দৌড় বা গাছে ওঠায় অসুবিধা এড়াতে এটি গুটিয়ে রাখে।

উড়ুক্কু কাঠবিড়ালী সাধারণ কাঠবিড়ালীর তুলনায় কম চটপটে। গোটা বিশ্বের কাঠবিড়ালী প্রজাতি সংখ্যা ২৭০, বাংলাদেশে রয়েছে ৮টি প্রজাতি। এদের মধ্যে পাঁচডোরা কাঠবিড়ালী ও তিনডোরা কাঠবিড়ালী মানুষের সংস্পর্শে তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়।

এসএসএইচ