অবশেষে করোনা টিকার আওতায় এলেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। মঙ্গলবার (৪ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, করোনার ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেনা সদস্যদেরকেও ভ্যাকসিন প্রদান করা শুরু হয় এবং বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়ে জাতিসংঘ সদর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

সম্প্রতি সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে জাতিসংঘ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের ভ্যাকসিন প্রদানের গুরুত্ব এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিশন এলাকায় বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে দেশ থেকে নতুন শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আগে সেনাসদস্যদের ভ্যাকসিন প্রদান করে মোতায়েন করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই সর্বপ্রথম ২০২১ সালের মার্চ থেকে ডিআর কঙ্গোতে নিয়োজিত কন্টিজেন্টগুলোর প্রতিস্থাপনকালে সেনাসদস্যদের ভ্যাকসিন প্রদান করে মিশন এলাকায় মোতায়েন করে আসছে। অতি সম্প্রতি মিশন এলাকাতেও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বাংলাদেশে ব্যবহৃত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রদান করা শুরু হয়েছে।

বর্তমানে জাতিসংঘের অধীনে ৮টি মিশনে ৫ হাজার ৩০৮ জন সেনা সদস্যসহ সর্বমোট ৬ হাজার ৮৮৫ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছেন।

এনএম/জেডএস