রাজধানীর সড়কে গাড়ির চাপ, থামতে হচ্ছে প্রতিটি সিগন্যালে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকালে রাজধানীর অধিকাংশ সড়কেই যানবাহনের চাপ বেড়েছে। রিকশা, প্রাইভেটকার ও পণ্যবাহী যানবাহনের দখলে রয়েছে প্রতিটি সড়ক। অতিরিক্ত গাড়ির চাপে দেখা দিচ্ছে যানজট। এ কারণে প্রায় প্রতিটি সিগন্যালেই দাঁড়াতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৫ মে) রাজধানীর সাতমসজিদ রোড, মিরপুর রোড, এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন মোড় এবং কদম ফোয়ারা মোড় ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি সিগন্যালেই থামাতে হচ্ছে গাড়ি। সাত মসজিদ সড়কে ব্যক্তিগত পরিবহনের চাপ কম থাকলেও রিকশার দাপট রয়েছে। সাইন্সল্যাব মোড় পার হতে একটি সিগন্যালে কমপক্ষে তিন থেকে চার মিনিট সময় লাগছে। কাঁটাবন সিগন্যাল ও শাহবাগ মোড়েও দাঁড়াতে হচ্ছে সিগন্যালে। এছাড়া কদম ফোয়ারা পার হতে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট সময় লাগছে প্রত্যেকটি গাড়ির।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা গণপরিবহনের আওতায় পড়লেও মানবিক দিক বিবেচনায় তা চলতে দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একজন যাত্রী পরিবহনের শর্ত থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুই থেকে তিনজন যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। তবে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দুইয়ের বেশি যাত্রী দেখলেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগের ধানমন্ডি জোনের এসি জাহিদ আহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের চেকপোস্টগুলো এখনো সক্রিয় আছে। আমরা নিয়মিত তল্লাশি করছি। দুইয়ের অধিক যাত্রী পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। মানবিক দিক বিবেচনা করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দুজন যাত্রী আমরা অ্যালাউ করছি। তার বেশি হলেই জরিমানা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মূলত প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছি। মাঝেমধ্যে রিকশা আটকালে চালকের থেকে যাত্রীই বেশি প্রতিক্রিয়া দেখান। তখন যাত্রীর প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে রিকশাগুলো ছাড় দিতে হচ্ছে।
এমএইচএন/এসকেডি