রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার বিটকয়েন ব্যবসার প্রধান ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনসহ ১২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- আবুল বাশার রুবেল (২৮), আরমান পিয়াস (৩১), রায়হান আলম সিদ্দিকি (২৮), মো. জোবায়ের (১৮), মেহেদী হাসান রাহাত (২৪), মেহেদী হাসান (১৯), রাকিবুল হাসান (২৩) রাকিবুল ইসলাম (২২), সোলাইমান ইসলাম (২১), মো. জাকারিয়া (১৮) ও আরাফাত হোসেন (২২)।

শনিবার (৮ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ‘বাড্ডা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে থাকা প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

গত মঙ্গলবার (৪ মে) আসামিদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম শুনান

গত ২ মে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার বেসিক বিজ মার্কেটিং নামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-১ এর একটি দল। সেখান থেকে বাংলাদেশে অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার প্রধান ও অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনসহ ১২ জনকে আটক করে র‍্যাব। 

অভিযান পরিচালনার সময় তাদের কাছ থেকে ২৯টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ৩টি ল্যাপটপ, ১৫টি মোবাইল ফোন, ১টি ট্যাব ও বিবিধ নথিপত্র জব্দ করা হয়।

সোমবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চক্রটির প্রধান ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমন। সুমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাস করেন। ২০১৩ সালে ছোট্ট একটি দোকানে বাচ্চাদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। সেখান থেকেই তিনি শুরু করেন বিটকয়েনের ব্যবসা। গড়ে তোলেন বেসিক বিজ মার্কেটিং নামক অনলাইন আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান। আর এর আড়ালে অবৈধ বিটকয়েন ও অনলাইন বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন ‍সুমন।

টিএইচ/জেডএস