সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যে ঈদকে সামনে রেখে বাড়িফেরা মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, যা ঘটতে দেখা যাচ্ছে তার ফলাফল আমরা আগামী ১৪দিন পরই পাব। যারা নির্দেশ অমান্য করে নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে ভিড়ে গেছেন তারা যেন পরিণতির জন্য সরকারকে কোনোভাবে দায়ী না করেন।

শনিবার (৮ মে) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সাধ্যমতো সব চেষ্টা করেছে,পরিস্থিতি বুঝেই নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে। সবাই নিয়ম মানার কথা দিচ্ছে। কিন্তু যখনই তাদের কথা বিবেচনা করে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি, তখনই তারা কথা রাখছেন না। হতাশার বিষয় হলো এতো দেখেও শিখছে না মানুষ।

আরও পড়ুন : ফেরি চলাচল বন্ধ, ঘাটে হাজার হাজার যাত্রী

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যেই ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়ে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। শুক্রবার সকালে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে শিমুলিয়া থেকে ফেরিতে কোনো যানবাহন উঠতে পারেনি।

সরকারের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে হাজারও মানুষের ঢল

এদিন সকাল ৮টার দিকে ফেরি (এনায়েতপুরী) কোনো যানবাহন ছাড়াই ১২০০ যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেরিটি শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছায়।

আরও পড়ুন : ১১ হাজার যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট ছেড়েছে ৩ ফেরি

এ অবস্থায় মধ্যরাতে বিআইডব্লিউটিসি ঘোষণা দেয়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে শনিবার (৮ মে) থেকে শিমু‌লিয়া-বাংলাবাজার ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। রাতে শুধু পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলবে। তবে শনিবার ভোর থেকেও ঘরমুখো মানুষ শিমুলিয়া ঘাটে জড়ো হতে শুরু করেন। যাত্রীদের রোষানলে পড়ে শেষ পর্যন্ত ফেরি চালাতে বাধ্য হয় ঘাট কর্তৃপক্ষ।

এসএইচআর/এসকেডি