৭টি কর্নার থেকে পছন্দমতো পোশাক ফ্রিতে নিতে পারছেন ক্রেতারা / ছবি ঢাকা পোস্ট

ঈদে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ব্যতিক্রমী মার্কেট চালু করেছে পুলিশ। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা পুলিশ ও লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং সিটির যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। এই মার্কেটে বাজার করতে কোনো টাকা লাগে না। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্রি ঈদ মার্কেট’।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন জাম্বুরী মাঠের পাশে দিনব্যাপী এই ঈদ বাজারের আয়োজন করা হয়। বুধবার (১২ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে এই মার্কেটের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) মো. আব্দুল ওয়ারীশ।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত উপকমিশনার পলাশ কান্তি নাথ, সহকারী কমিশনার শ্রীমা চাকমা, ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন, লায়ন শামচুউদ্দিন সিদ্দীকি, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং সিটির সভাপতি লায়ন রাজেশ চৌধুরী, লায়ন গাজী মো. শহীদুল্লাহ্ (জোন চেয়ারম্যান), লায়ন কামরুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আব্দুল ওয়ারীশ বলেন, আমরা সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চাই। আর্থিক অসংগতি যাতে এই আনন্দে ভাটা না ফেলে তাই আমাদের এই উদ্যোগ। সমাজের সবাই যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে এলেই ঈদের আসল তাৎপর্য অর্থবহ হবে।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, ফ্রি এই ঈদ বাজারে মোট ৭টি কর্নার খোলা হয়েছে। করোনায় চট্টগ্রামে মারা যাওয়া সাত পুলিশ সদস্যকে স্মরণ করে তাদের নামে কর্নারগুলোর নামকরণ করা হয়েছে।

প্রতিটি কর্নারেই পৃথকভাবে শাড়ি, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, বাচ্চাদের পোশাক, টি-শার্ট, টুপি, সেমাই, নুডলসসহ নানা পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। ক্রেতারা ইচ্ছেমতো বাজার করছেন। মনের মতো বাছাই করছেন। শেষে নিজের পছন্দের পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ফ্রিতে। হাতে মেহেদি লাগানোর ব্যবস্থাও ছিল অন্য রকম এ ঈদ আয়োজনে।

এদিকে সিএমপির এ মার্কেট থেকে বাজার করতে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষ ভিড় করেন। অনেকেই এখান থেকে বিনামূল্যে বাজার করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন।

ঈদ বাজারে আসা আগ্রাবাদ এলাকার রাজিয়া বেগম বলেন, আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এমন আয়োজনে খুব খুশি হয়েছি। করোনায় এখন উপার্জন বন্ধ। এ বছর ঈদের কেনাকাটা করার সামর্থ্য ছিল না। ডবলমুরিং থানাকে ধন্যবাদ এ ঈদে আমাকে আর আমার বাচ্চাদের নতুন জামা, ঈদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।

একই প্রতিক্রিয়া রিকশাচালক সিরাজ মিয়ার। তিনি বলেন, টোকেন ব্যবস্থার মাধ্যমে এভাবে ঈদের কাপড়, টুপি, খাবার বিতরণ কখনো দেখিনি। আমার দুই ছেলের জন্য নতুন কাপড় আর খাবার পেয়ে আমি খুব খুশি। 

কেএম/এসকেডি