মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় বাবা-মা ও দুই বোন হারানো মীমকে ঈদ উপহার দিয়েছেন খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান। বৃহস্পতিবার (০৬ মে) বিকেলে খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত ইউনিয়নের পানতিতা গ্রামে পুলিশ সুপারের দেওয়া ঈদ উপহার মীমকে প্রদান করা হয়েছে।

মীম ও তার নানা-নানির হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. মামুন অর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) এসএম রাজু আহমেদ ও তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. মোশাররফ হোসেন। এ সময় তেরখাদা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম অহিদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। 

তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় বাবা-মা ও দুই বোনকে হারিয়ে মীম এখন বারাসাত ইউনিয়নের পানতিতা গ্রামে তার নানা-নানির বাড়িতে রয়েছে। খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসানের পাঠানো ঈদ উপহার পেয়ে মীম খুশি। সে নানা-নানির বাড়িতে ভালো আছে। বাবা-মা ও দুই বোনকে হারিয়ে কিছুটা চুপচাপ রয়েছে মীম।

গত ৩ মে পদ্মায় স্পিডবোট ডুবিতে বাবা-মা ও দুই বোনকে হারিয়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় খুলনার তেরখাদা উপজেলার পারখালী গ্রামের শিশু মীম। দুর্ঘটনার পর নদীতে একটি ব্যাগ ধরে ভাসছিল মীম। এ সময় নৌপুলিশের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মীমের বাবা মনির হোসেন, মা হেনা বেগম, ছোট দুই বোন সুমি (৫) ও রুমি (৩) স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মারা যান। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মীমকে উদ্ধারকারী নৌপুলিশের কনস্টেবল মেহেদী বলেন, শিশুটিকে নদীতে ব্যাগ ধরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করি। তার হাত ও চোখের কাছে সামান্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। 

গত ৩ মে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি স্পিডবোট কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে এসে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর