দ. কোরিয়ায় বাংলাদেশিদের ফেরাতে যোগাযোগ চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন: সংগৃহীত ছবি
করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দেশে এসে আটকাপড়া কর্মী, শিক্ষার্থীসহ নতুন করে বৃত্তি পাওয়াদের সেখানে ফেরাতে সরকার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (০৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ায় আমাদের অনেক কর্মী যাবেন, করোনার কারণে তারা যেতে পারছেন না। অনেক শিক্ষার্থী যেতে পারছে না, স্কলারশিপ পেয়েছে এমন শিক্ষার্থীরাও যেতে পারছে না। আমরা তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছি। কোরিয়ান সরকার এ ব্যাপারে খুব কড়া। তারা একটা লোকও অ্যালাও করছে না। এটা যে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নয়, কোনো দেশকেই তারা অনুমতি দিচ্ছে না।’
সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ১ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দূতাবাস বন্ধ থাকবে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এটা সঠিক তথ্য নয়। তিনি বলেন, ‘মালয়েশিযার বিষয়ে একটা তথ্য বের হয়েছিল এটা সঠিক নয়। মালয়েশিয়ায় আমাদের মিশনে যারা কাজ করেন তাদের দুইজনের করোনা হয়েছে। তবে আমাদের মিশন চলছে। আমাদের বাকিরা কাজ করছে।’
বিজ্ঞাপন
মালয়েশিয়ার দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওদের আলাপ হয়েছে। তারা বলেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছে। কোনো লোককে তারা মিশনে ঢুকতে দিচ্ছে না। তারা পাসপোর্ট রেডি করে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে। হাজারখানেক লোক মিশনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে এগুলোর অনুমতি নেই। মিশন চলছে এবং কাজও হচ্ছে।’
গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিরার বাংলাদেশ দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইকমিশনের একাধিক কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ১ থেকে ১০ জানুয়ারি হাইকমিশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে হাইকমিশন ও আম্পাংয়ের ভিসা সেন্টারও বন্ধ থাকবে।
হাইকমিশন খোলার পর আবার সেবা চালু হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে দূতাবাস।
বিদেশি সব মিশনে কার্যক্রম চালু রয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একাধিক মিশনে কর্মকর্তারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। মালয়েশিয়ায় হয়েছে, জর্ডান, সৌদি আরব, জেদ্দাসহ বিভিন্ন মিশনে হয়েছে। সব জায়গায় আমাদের মিশন চালু আছে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে চলতি বছরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ বছরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই। আশা করছি, এ বছর মিয়ানমার তাদের লোকজন ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করবে। আগেও তারা কিছু রোহিঙ্গা ফেরত নিয়েছে।’
এনআই/জেডএস