আজও বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণের মানুষজন
ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে ঘুরমুখী মানুষদের বেশ ভিড় ছিল রাজধানী থেকে বের হওয়ার সবগুলো পয়েন্টে। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি মাথায় নিয়ে গত কয়েকদিনে বাড়ি ফিরেছে লাখো মানুষ। ঘরমুখী মানুষের বাড়িতে যাওয়ার ধারা ঈদের পর দিনও অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার (১৫ মে) রাজধানীর গাবতলী-আমিনবাজার এলাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় মানুষজন কম থাকলেও যাত্রী চাপ লক্ষ্যকরা গেছে। আজও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে অনেককে।
বাড়ি ফেরা কেউ কেউ সরকারের সমালোচনা করে বলছে, দূরপাল্লার পরিবহন চালু রাখলে এইরকম ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে স্বাস্থ্যবিধিতে কড়াকড়ি আরোপ করে পরিবহন চালু করা উচিত। তা না হলে বাড়ি থেকে রাজধানীতে ফিরতেও আবার একইরকম পরিস্থিতি তৈরি হবে। বাড়ি ফেরা মানুষদের সাথে ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদকের কথা হলে এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন বাড়ি ফেরা মানুষগুলো।
বিজ্ঞাপন
এদিন গাবতলী এলাকায় দেখা গেছে, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে চড়ে মানুষজন ঢাকা ছাড়ছে।
এর আগে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার রাজধানী থেকে মানুষজনদের বাড়িতে যেতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রেখেছে। কিন্তু সরকারের বিধিনিষেধের কোনো তোয়াক্কা না করেই ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছিল গত কয়েকদিন। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের পরদিনও ঢাকা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ। ঈদের পর হলেও পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে চান তারা।
বিজ্ঞাপন
মো. মিলন সাউন্ডে কাজ করেন। ঈদের পর দিন চাপ কম থাকায় রওনা হয়েছেন গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের উদ্দেশে। তিনি বলেন, পরিবার গ্রামের বাড়িতে থাকে। ঈদে বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকারের বিধিনিষেধের কারণে এবং মানুষের এতো চাপ দেখে যাওয়া হয়নি। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ অনেকটা কম। চাপ কম থাকায় বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছি। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে আবার ঢাকায় ফিরবো। এখান থেকে পাটুরিয়া যাব। আজ ভাড়াও কম। বাসে জনপ্রতি ভাড়া ২০০ টাকা চাইছে।
সরজমিনে গিতে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অমান্য করে সাধারণ মানুষ যে যা দিয়ে পারছে তা দিয়েই গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের মতো গণপরিবহন না চলায় ভোগান্তির পাশাপাশি ভাড়া একটু বেশি দিতে হচ্ছে। ঈদের দিন ঢাকা ছেড়ে যাওয়া এসব মানুষের অধিকাংশই শ্রমজীবী।
পাবনার রাজু নামে এক পলিটেকনিকে পড়ুয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, কলেজ বন্ধ। মা-বাবা গত কয়েকদিনের খারাপ পরিস্থিতিতে যেতে নিষেধ করেছিল। এখন যেহেতু চাপ অনেক কম তাই বাড়ি যাচ্ছি। বাড়িতে সপ্তাহখানেক থাকবো, তারপর আবার ঢাকায় আসতে হবে।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রাইভেট কারে সরাসরি আরিচা যাব। আরিচা থেকে ঘাট পার হলেই পাবনা!
এসআর/এসএম