অডিট আপত্তি এড়াতে প্রশিক্ষণ নীতিমালা করছে ইসি
নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ভাতা নিয়ে অডিট আপত্তি যাতে না আসে, সেজন্য প্রশিক্ষণ নীতিমালা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, কমিশনের সভায় প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া তোলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও সভায় উপস্থাপন করতে বলেছেন। রোববার নির্বাচন কমিশনের ৭৪তম সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বিজ্ঞাপন
সচিব বলেন, প্রশিক্ষণ ভাতা নিয়ে যেহেতু অডিট আপত্তি হয়েছে, তাই ইসি সচিবালয় থেকে একটি নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে আর অডিট আপত্তি না আসে।
কমিশনের বক্তব্য, প্রশিক্ষণের পদ ও ভাতার হার নির্ধারণের বিষয়ে কমিশনই ক্ষমতাপ্রাপ্ত, তারা অনুমোদন দিতে পারে। অডিট বিভাগ মনে করছে, কোন খাতে ব্যয় হবে তা কমিশন নির্ধারণ করতে পারে। কিন্তু প্রশিক্ষণে ভাতার হার ও পদের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
সচিব বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত পদ ও হার অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হলে আর আপত্তি আসবে না।
তিনি বলেন, প্রথমে ইসি এটা মনে করলেও অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলেছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পদের বাইরে নীতিমালায় ‘বিশেষ বক্তা’ ও ‘কোর্স উপদেষ্টা’সহ বিভিন্ন পদ রাখার বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কমিশন সচিবালয়কে খসড়া প্রশিক্ষণ নীতিমালা পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণে কী কী পদ থাকবে ও কী হারে সম্মানি দেওয়া হবে সেই প্রস্তাব চূড়ান্ত করে আবারও কমিশন বৈঠকে তোলা হবে।
সচিব বলেন, ইটিআইয়ের বিষয় অডিট আপত্তিতে এসেছে। অডিট অধিদপ্তরের দৃষ্টিতে যেসব নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ভাতা নেওয়া হয়নি সেসব ক্ষেত্রে আপত্তি দিয়েছে। এরপর জবাব দেওয়া হয়েছে। অনেকগুলো তারা মেনে নিয়েছে। অন্যগুলোর আরও কিছু তথ্য চেয়েছে। জবাবে তারা সন্তুষ্ট হলে তা মেনে নেবেন।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে ইসির সচিব বলেন, শুধু অভিযোগ দিলেই হবে না। পেছনের সব অভিযোগ নিয়ে কাজ করলে সামনে এগুবো কীভাবে। কেউ সন্তুষ্ট না হলে আদালতের শরনাপন্ন হতে পারেন।
এসআর/এনএফ