ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশে আঘাত হানবে কখন?
আগামীকাল (সোমবার) দুপুর নাগাদ বঙ্গোপসাগরে ইয়াস নামে ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও দেশের উপকূলের দিকে আসতে শুরু করবে। বুধবার দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টির বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাওয়া হলে আজ রোববার (২৩ মে) দুপুরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যার পরে বা সন্ধ্যা নাগাদ বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার পর ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কি.মি. গতিতে উপকূলের দিকে আসতে থাকবে। উপকূলের যত কাছে আসবে ঘূর্ণিঝড়ের গতি তত বাড়তে থাকবে। উপকূলের কাছাকাছি এসে ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কি.মি. গতিতে আঘাত হেনে চলে যাবে।
বিজ্ঞাপন
এ আবহাওয়াবিদ বলেন, আসলে বঙ্গোপসাগারে ঘূর্ণিঝড়টি কতক্ষণ অবস্থান করবে এটা আগে থেকে বলা খুব কঠিন। কোনো কোনো সময়ে ১২ ঘণ্টা আবার কোনো কোনো সময়ে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অবস্থান করে। তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের খুব কম সময় সাগরে অবস্থান করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বর্তমানে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুষ্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার আশপাশ এলাকায় অবস্থান করছে।
এদিকে আজ রোববার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া রাঙ্গামাটি, সীতাকুন্ড, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, মৌলভীবাজার, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। কিছু এলাকায় দাবদাহ কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আগামী তিনদিনে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ফেনীতে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের হাতিয়া অঞ্চলে ১৪ মি.লি.।
একে/এনএফ