শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে হাজং সম্প্রদায়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর পুরুষদের মধ্যে ৭৯.২ শতাংশ এবং নারী ৬৮.৩ শতাংশ শিক্ষিত। এই জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৬৪.০৮ শতাংশ শিক্ষিত। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯.১৩ শতাংশ এবং নারী ৫৯.০৭ শতাংশ শিক্ষিত।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাস্তবায়নাধীন শেরপুর জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপ ২০২৩-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

বিবিএস জানায়, শেরপুরের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের হার ১৫ থেকে বেশি বছর বয়সের মানুষের মধ্যে ৫১.৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩.৫২ শতাংশ এবং নারী ৪৯.২১ শতাংশ। নকলা উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩.৩৩ শতাংশ এবং নারী ২০.৯২ শতাংশ। নালিতাবাড়ি উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৬৩.৪১ শতাংশ এবং নারী ২৬.৮৬ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৬.১৫ শতাংশ এবং নারী ১৯.০৭ শতাংশ। শ্রিবেদি উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৪.৮১ শতাংশ এবং নারী ২৯.২১ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হামিদুল হক, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।

প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পটির পরিচালক ফারহানা সুলতানা। বক্তব্য রাখেন প্রভার্টি ফোকাল পয়েন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব পরিচালনা করেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব দীপঙ্কর রায়।

এসআর/এমজে