জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে গত ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২১ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ আসনটিও শূন্য ঘোষণা করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যদি নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে না পারে তাহলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ক্ষমতাবলে ‘দৈব-দুর্বিপাক’ জনিত কারণে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনের নির্বাচন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে করতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি।

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মে) ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাক্ষরিত এক আদেশে প্রজ্ঞাপনটি ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ইসি জানায়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যা অনুযায়ী জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৪ আসনটি শূন্য রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪) অনুযায়ী উক্ত শূন্য পদ পূরণ করতে আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। 

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪) এর শর্তানুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এ দফার নির্ধারিত মেয়াদ অর্থাৎ শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উল্লিখিত শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায় জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৪ শূন্য আসনের নির্বাচন নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে অনুষ্ঠান সম্ভব না হওয়ায় পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।’ এ আসনের নির্বাচনের তফসিল যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে বলেও জানায় ইসি।

অন্যদিকে, কুমিল্লা-৫ আসনের নির্বাচন ১২ জুলাইয়ের মধ্যে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ আসনের নির্বাচনও করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এ সময়ের মধ্যে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ইসি। এ আসনের উপনির্বাচনও ঢাকা-১৪ আসনের বিধিবিধান অনুযায়ী পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে করতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনের তফসিলও পরবর্তী সময়ে ঘোষণা করা হবে।

ইসির প্রজ্ঞাপন দুটির কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ ২৪টি দফতরে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম গত ৪ এপ্রিল এবং কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু গত ১৪ এপ্রিল মারা যান। ফলে এ দুটি আসন শূন্য হয়।

এসআর/এমএআর/