পাবনার আকাশে দেখা মিলেছে রক্তিম এই চাঁদের। ছবি- সংগৃহীত

মেঘলা আকাশ ভেদ করে চন্দ্রগ্রহণের পর দেশের কোথাও কোথাও দেখা মিলেছে রক্তিম চাঁদের। বিশ্বজুড়েও বুধবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় চন্দ্রগ্রহণ ও ব্লাড মুনের দেখা মিলেছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আকাশ মেঘলা থাকায় রাজধানীতে রক্তিম চাঁদের দেখা না পাওয়া গেলেও পূর্ণিমার চাঁদের দেখা মিলেছে।

বুধবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় ঢাকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটে। শেষ হয় সন্ধ্যা  ৭টা ৫১ মিনিটে। এই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ এবং সুপারমুন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও পূর্ব এশিয়া থেকে পরিষ্কার দেখা গেছে।

বুধবার নিছকই সাদামাটা পূর্ণিমা ছিল না। এটি ব্যতিক্রমী ও বিরল মূলত তিনটি কারণে। প্রথমত, এদিন চাঁদ পৃথিবীর নিকটতম বিন্দুতে অবস্থান করেছে। যাকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় ‘পেরিজি’ বলা হয়। এ সময় পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব থাকার কথা ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৯ কিলোমিটার। চাঁদ নিজের প্রকৃত অবস্থান থেকে প্রায় ২৭ হাজার কিলোমিটার এগিয়ে আসার ফলে তাকে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বড় দেখায়। এমন চাঁদকেই সুপারমুন বলা হয়।

সুপার মুন/ ছবি- সুমন শেখ

দ্বিতীয়ত, পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে এমন অবস্থানে এসে উপস্থিত হয় যে, পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দিয়েছিল। 

আর তৃতীয়ত, ওই সময় চাঁদকে দেখলে মনে হয়েছে, একটা কালচে লাল রঙের আভা যেন তাকে ঘিরে আছে। এই রক্তিমতার কারণে তার নাম ব্লাড মুন।

আর ফ্লাওয়ার ফুল মুন হলো পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত পূর্ণিমার চাঁদেরই (মে মাসের) একটি বিশেষ নাম। এই সময় প্রচুর ফুল ফোটে কিছু কিছু দেশে। তাই এ নামকরণ। ক্ষেত্রবিশেষে পিংক মুন বলা হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) বলছে, ২০২১ সালের অন্যান্য চন্দ্রগ্রহণের তুলনায় আজকের পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটিতে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি অবস্থানে আসে চাঁদ। এটাকেই সাধারণত সুপারমুন বলা হয়ে থাকে। এ সময় চাঁদের উজ্জ্বলতা ও আকার কেবল বাড়েই না, পাশাপাশি এই সুপারমুন একটা ‘সুপারপাওয়ার’ নিয়ে আসবে যেখানে চাঁদের রং পরিবর্তন হয়ে লালচে দেখায়।

একে/এইচকে