এল‌ডি‌সিভুক্ত দেশগু‌লো‌তে ক‌রোনার টিকার ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মো‌মেন উন্নত দেশগু‌লো‌কে অপ্রয়োজ‌নে টিকার মজুত বন্ধ ক‌রে সুলভমূ‌ল্যে সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) জাতিসংঘ সদর দফতর আয়োজিত এল‌ডি‌সিভুক্ত দেশগু‌লোতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো নি‌য়ে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই দাবি জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব‌লেন, ‘এল‌ডি‌সিভুক্ত দেশগু‌লো‌তে টিকার প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। অন্যান্য দেশগুলো যেখানে টিকা পাচ্ছে না, সেখানে উন্নত দেশগুলো অপ্রয়োজনে টিকার বিশাল মজুত গড়ে তুলছে; যা টিকার অপব্যবহার।’

ক‌রোনার টিকা ছাড়াও অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করতে উন্নত দেশগু‌লো‌কে অনু‌রোধ জানান মো‌মেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘ইস্তাম্বুল প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন ২০১১’ বিশ্ব বাণিজ্যে এলডিসি দেশগুলোর অংশীদারিত্ব এক দশকে দ্বিগুণ করার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে গত দশ বছরে এলডিসিভুক্ত দেশের বৈশ্বিক বাণিজ্যে অংশীদারিত্ব বাড়ার পরিবর্তে হ্রাস পেয়েছে।

মো‌মেন এল‌ডি‌সিভুক্ত দেশগু‌লোর সুবিধার্থে বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং বহুপক্ষীয় সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘আদ্দিস আবাবা অ্যাকশন’ এজেন্ডার কথা উল্লেখ করেন। তি‌নি ব‌লেন, ‘এজেন্ডায় এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর বিশ্ব বাণিজ্যে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার পাশাপাশি বাধাগু‌লো চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্য এখনও তা পূরণ সম্ভব হয়নি।’

মো‌মেন ক‌রোনা মহামারির কারণে এল‌ডি‌সিভুক্ত দেশগু‌লো অর্থনীতিতে যে ক্ষতির সম্মুখীন হ‌য়ে‌ছে তা তু‌লে ধ‌রেন। তি‌নি ই-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলডিসির অনুকূলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রিপরিষদ সভার সব সিদ্ধান্ত দ্রুত সম‌য়ে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। পাশাপাশি শুল্ক বহির্ভূত বাধাসহ অন্যান্য জটিলতা অপসারণের দাবি জানান।

এনআই/এমএইচএস