ভাস্কর্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান শিগগিরই

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে যারা ছিনিমিনি করছেন, তারা ভুল করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্য-নির্বাহী কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভাস্কর্য রক্ষার দায়িত্ব সবার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় ভাস্কর্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান খুব শিগগিরই হবে। আর এগুলো রক্ষা করার দায়িত্ব জনগণের, সরকারের অর্থাৎ আমাদের সবার। সেই কাজটির জন্য সবাইকে আহ্বান করবো। ভাস্কর্য হলো ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি অংশ। শুধু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নয় আরও অনেক ভাস্কর্য আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে মুসলিম চিন্তাবিদদের ভাস্কর্য অনেক যায়গায় স্থান পাচ্ছে। আল বেরুনি, ইবনে সিনহাসহ অনেক মুসলিম তারকার ভাস্কর্য রয়েছে। আমরা মনে করি ভাস্কর্য পুজার জিনিস না। ভাস্কর্য হলো হৃদয়ে ধারণ করার জিনিস যে, এই নেতা আমাদের জন্য যে কাজগুলো করেছেন। সেটা জন্ম জন্মান্তরের আমাদের প্রজন্মের পরের প্রজন্ম যেনও মনে রাখতে পারে সেই জন্যই ভাস্কর্য।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলো তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করেছি। শুধু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যই নয়, কুষ্টিয়ায় আরও একটি ব্রিটিশ আমলের একজন বিখ্যাত মানুষ বাঘা জতিনের ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে। তাদেরকেও আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের নামেও মামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি ভাস্কর্য করার কারণ হচ্ছে, জন্ম-জন্মান্তরে নতুন প্রজন্ম যেন জানতে পারে, চিনতে পারে। বাঘা জতিন কে ছিলেন, কিংবা সরাবিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে ছিলেন। নতুন প্রজন্ম তাকে যেন হৃদয়ে ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমি সবাইকে আহ্বান করবো আপনারা আইন হাতে তুলে নিবেন না। যারা এ কাজগুলো করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিন। এদেশের জনগণ অনেক উদার, অনেক সংস্কৃতি মনা। সুতরাং এদেশের জনগণ ভাস্কর্য ভাঙতে পারে না। এগুলো চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারীদের একটি অপপ্রয়াস।

ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খাঁন, ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক, উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ। 

এইউএ/এমএইচএস