জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) দুই সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও ও গিলিয়ান ট্রিগসের নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর পরিদর্শনের সময় সেখানকার রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর।

সোমবার ( ৩১ মে) রাতে ইউএনএইচসিআরের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটি।

সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, ইউএনএইচসিআরের দুই সহকারী হাইকমিশনারের ভাসানচর দ্বীপে ইভেন্ট চলাকালে আহত হওয়া শরণার্থীদের প্রতিবেদন জানতে পেরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা দুঃখিত যে, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শিশু এবং নারী ছিল।

ইউএনএইচসিআরের দুই সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও ও গিলিয়ান ট্রিগস রোববার (৩০ মে) চারদিনের সফরে ঢাকায় আসেন। সফরের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে আরও ১২ প্রতিনিধিকে নিয়ে সোমবার (৩১ মে) ভাসানচর পরিদর্শনে যান তারা। ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা ভাসানচরে পৌঁছালে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেন।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে স্থানান্তরের পর ইউএনএইচসিআরের সদর দফতরের কোনো প্রতিনিধিদের প্রথম ভাসানচর সফর এটি।

ইউএনএইচসিআর বলছে, শরণার্থীদের সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্য আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। আমরা জরুরিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থার বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান করা অব্যাহত রেখেছি এবং তারা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সহায়তা পাবে।

সংস্থাটি জানায়, এই সফরে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধিরা শরণার্থীদের বিশাল দলটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এবং তাদের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয় শোনার পক্ষে সক্ষম হয়েছিল,  এ নিয়ে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরও আলোচনা করবে।

বাংলাদেশ সফরে আসা সংস্থাটির দুই সহকারী হাইকমিশনারের মধ্যে রাউফ মাজাও পরিচালনা বিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার এবং গিলিয়ান ট্রিগস সুরক্ষা বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দুই সহকারী হাইকমিশনার আজ মঙ্গলবার (১ জুন) কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, বাংলাদেশ সফরে আসা ইউএনএইচসিআরের দুই সহকারী হাইকমিশনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

এনআই/এসকেডি