অবৈধ জাল ধ্বংসে বিশেষ ‘কম্বিং অপারেশন’ শুরুর অনুমতি
দুই ধাপে মাছ ধরার অবৈধ জাল ধ্বংসে বিশেষ ‘কম্বিং অপারেশন’ শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশের ১৭টি জেলায় আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে প্রথম ধাপের এ অপারেশন।
মৎস্য অধিদফতর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে ১০ জানুয়ারি থেকে ৭ দিন এবং দ্বিতীয় ধাপে ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্ন্ত মোট ১৫দিন এ অভিযান চলবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এসব অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বিজ্ঞাপন
মৎস্য অধিদফতরের সম্প্রসারণ শাখার প্রধান মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জুয়েল শেখ ঢাকাপোস্টকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে এ অনুমতি পাওয়া গেছে। নির্দিষ্ট সময়ে অভিযান পরিচালনা শুরু হবে। এতে দেশের মাছের উৎপাদন বেশি হবে।
মৎস্য অধিদফতর জানায়, দেশের উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় মৎস্যসম্পদের জন্য ক্ষতিকর বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চটজাল, টং জাল ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের ডিম, রেণু ও পোনা বিনষ্ট হচ্ছে। এ কারণে ক্ষতিকর এসব জাল ধ্বংসে অভিযান চালানো হবে।
বিজ্ঞাপন
দেশের উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠী পিরোজপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার ও মুন্সিগঞ্জ এই মোট জেলায় অভিযানগুলো চালানো হবে।
প্রসঙ্গত, এ অভিযান বিষয়ে গত বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সার্বিক দিকনির্দেশনায় নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জানানো হয় অপারেশন সমন্বয়ে করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদফতরের মনিটরিং টিম কাজ করবে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব অভিযানের ফলে দেশে মা মাছের ডিম, রেণু ও পোনা অনেক বেশি সংরক্ষণ করা যাবে। এতে মাছ উৎপাদনে বড় সহায়ক হবে। অভিযান নিয়মিত পরিচালনার জন্যেও তাগিদ দেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।
একে/এনএফ