১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন ‘বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভস বিল-২০২১’ আইনের খসড়া সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

রোববার (৬ জুন) সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ খসড়া আইনটি সংসদে উত্থাপন করেন।

পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় আর্কাইভস পরিচালনায় একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। এখানে একজন মহাপরিচালক থাকবেন। অধ্যাদেশে এই মহাপরিচালক ছিলেন না। বিদ্যমান আইনে রেকর্ড বিনষ্ট করার যে বিধান ছিল খসড়া আইনে তা বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, সরকারি রেকর্ড আর্কাইভে থাকলে হলে তা ২৫ বছর বা তার বেশি পুরোনো হতে হবে। ব্যক্তিগত রেকর্ডও আর্কাইভসে রাখা যাবে। ঐতিহাসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, কিংবা সাংস্কৃতিক তাত্পর্য রয়েছে এমন ৩০ বছর বা তার বেশি পুরোনো ব্যক্তিগত রেকর্ড আর্কাইভসে সংরক্ষণ করা যাবে।

বিলে বলা হয়েছে, আরকাইভসে রক্ষিত রেকর্ড চুরি, নষ্ট বা হ্যাক করলে তিন বছরের জেল, ২০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। রেকর্ড পাচার করলে ৫ বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। খসড়া আইনে রেকর্ডের সফট কপি করার বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে যা ছিল না।

প্রস্তাবিত আইনে গবেষক ও তথ্য সেবা গ্রহীতাদের অনলাইন ডিজিটাল সেবা দেওয়ার জন্য আর্কাইভ ডিজিটাল সেবা বা তথ্য প্রযুক্তি সেবা দিতে নির্দেশনা রয়েছে। ফি দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে গোপন কোনো দলিল না হলে সরবরাহ করার বিধান রাখা হয়েছে।

এইউএ/এসএম