বঙ্গবন্ধু সেতুতে সর্বোচ্চ টোল আদায়, ঋণ শোধ হবে ২০৩৪ সালে
করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধু সেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে। তবে সেতুটি নির্মাণে নেওয়া ঋণ ২০৩৪ সাল নাগাদ পরিশোধ শেষ হবে।
রোববার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে টেবিলে বগুড়া-৫ আসনের হাবিবর রহমানের উপস্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সকালে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
বগুড়া - ৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ১৯৯৮ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ৬ হাজার ৪৩৪ কোটি ৩ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরে পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ডিএসএল পরিশোধ বাবদ ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ১০৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।
তিনি জানান, এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৫৯৪ কোটি ৮৬ কোটি। গত বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগি শনাক্ত করা হয়। এরপর দেশে দুইমাসের বেশি সময় সাধারণ ছুটি ছিল। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে টোল আদায় হয়েছিল ৫৭৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী জানান, ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ- চীন মৈত্রী সেতু ২০০৮ সালে চালুর পর থেকে ১৬১ কোটি ১১ লাখ টাকার টোল আদায় হয়। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছিল।
গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, সেতু বিভাগের আওতাধীন সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত বর্তমানে দুটি সেতু রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু ও বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী (মুক্তারপুর) সেতু। আদায়করা অর্থ হতে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যায় নির্বাহের পর এই সেতু নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের ঋণ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় অ্যামোরটাইজেশন শিডিউল অনুযায়ী উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো থেকে গৃহীত ঋণ সেতু হতে আদায়করা টোলের মাধ্যমে ২০৩৪ সাল নাগাদ পরিশোধ শেষ হবে।
এইউএ/এসএম