রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় বিয়ের প্রলোভনে ৭ মাস ধরে ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের নাম সজীব আলী (২২)। এ ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছে। মামলায় সজীবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৬ জুন) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

ওই কিশোরী বলে, আমি উত্তরা এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করি। সেই সুবাদে সজীবের সঙ্গে পরিচয়। এরপর আমি সজীবের পরিবারের সঙ্গে (পেয়িং গেস্ট হিসেবে) থাকতে শুরু করি। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ওই বাসার মালিকের নাম আলম। 

কিশোরী আরও বলেন, একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সজীব আমার সঙ্গে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয়। সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলে আমার বেতনের টাকা এনেও সজীবের মায়ের হাতে দেই। ইতোমধ্যে ৭ মাস চলে গেছে। সজীব এখন আমাকে বিয়ে করছে না। তার পরিবার সব কিছু জানে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয় না। 

অভিযুক্ত সজীব ময়মনসিংহ জেলার আলীপুরের রমজান আলী ছেলে জানিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক(এসআই) মিলন কুমার ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার (৫ জুন) কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করি। পরে আসামি সজীবকে গ্রেফতার করি। ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্ত তাকে ৭ মাস ধরে ধর্ষণ করছেন। ঢাকা মেডিকেলে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। আসামিকে আজ (রোববার) আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এসএএ/এইচকে