যানজটের ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
সকাল থেকেই রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে। কোথাও ঠেকে ঠেকে গাড়ি এগোচ্ছে। যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর থেকে বের মানুষগুলোর। কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে লাগছে অতিরিক্ত সময়।
সোমবার (৭ জুন) বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, কলাবাগান ও ধানমন্ডির বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এ বিষয়ে বাস চালক ও তাদের সহকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর প্রায় সবগুলো সড়কেই যানজট। কেনো এই যানজট, তা মূলত জানা নেই। এজন্য কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে স্বাভাবিক সময়ের অনেক বেশি সময় লাগছে।
বিজ্ঞাপন
শিকড় পরিবহনের চালক জলিল বলেন, ‘সকাল থেকেই আজ বিভিন্ন রাস্তায় জ্যাম। গাড়ি একটু আগায়, আবার থেমে যায়। কাকরাইল থেকে কাওরান বাজার আসতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। যাত্রীরাও সময় মতো তাদের গন্তব্যে যেতে পারছে না।’
বাংলামোটরে স্বাধীন পরিবহনের হেলপার তুহিন বলেন, ‘রাস্তায় বাস আছে, কিন্তু জ্যাম বেশি হওয়ার কারণে এগুলো সময় মতো যেতে পারছে না। নতুন করে বাসগুলোও আসতে পারছে না।’
বিজ্ঞাপন
বিকাশ পরিবহনের এক যাত্রী জানান, আবদুল্লাহপুর থেকে কলাবাগান আসতে তিন ঘণ্টা লেগেছে। অথচ অন্যদিন খুব বেশি জ্যাম হলেও আড়াই ঘণ্টার মধ্যে কলাবাগান পৌঁছানো যেত।
রাজধানীর বাংলামোটরের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম। তিনি বনানীর একটি দোকানে কাজ করেন। প্রায় আধঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারেননি। কাঙ্ক্ষিত বাস পেলেও, সিট খালি নেই। আব্দুল হাকিম বলেন, ‘রাস্তায় বাসের অভাব নেই। কিন্তু আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়েও বাসের সিট খালি না থাকায় উঠতে পারছি না। জ্যামের কারণে বাসগুলো নতুন করে আসতে পারছে না।’
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে কথা হয় ট্রাফিক (সার্জেন্ট) আকিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে সড়কে অন্য দিনের তুলনায় যানজট একটু বেশি। আসলে কারণটা আমি সঠিক বলতে পারব না।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আবারও বাড়িয়েছে সরকার। আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত চলবে এই বিধিনিষেধ। রোববার (৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এনআই/এমএইচএস